Wild Boar Attack Death Coochbehar: সাতসকালে চাঞ্চল্য কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে! লোকালয়ে ঢুকে পড়ল গন্ডার। ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই চোখে পড়ে বিরাট এক বন্যপ্রাণী, সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। ২ দিন আগেই বুনো শুয়োরের ধাক্কায় দুজনের মৃত্য়ু হয়। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
ঘটনা কোচবিহার ২ ব্লকের পুন্ডিবাড়ি বাজার সংলগ্ন সুভাষপল্লির। শুক্রবার ভোরে এলাকার বাসিন্দারা দেখতে পান, একটি পূর্ণবয়স্ক গন্ডার রাস্তার ধারে ঘোরাফেরা করছে। স্থানীয় বাসিন্দা বিভা কর নামে এক ষাটোর্ধ্ব মহিলা ফুল তুলতে বেরিয়ে পড়েছিলেন। আচমকাই গন্ডারটি তাঁর দিকে তেড়ে আসে। গুরুতর জখম হন তিনি। আরেকজন, দিলীপ দাস (৬০) নামের এক প্রবীণও আহত হন ওই ঘটনায়।
খবর পেয়ে মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ও বন দপ্তরের কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার বন বিভাগের ডিএফও অসিতাভ চট্টোপাধ্যায়সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। সঙ্গে সঙ্গে মাইকিং করে এলাকাটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়। এরপর গন্ডারটি আশ্রয় নেয় এক স্থানীয় বাসিন্দার বাড়ির পেছনের জলাশয়ে।
প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। অবশেষে বনকর্মীরা কুনকি হাতির সহায়তায় গন্ডারটিকে বশে এনে নিরাপদে উদ্ধার করেন। পরে সেটিকে নিয়ে যাওয়া হয় চিলাপাতার জঙ্গলে। গন্ডারটিকে এক ঝলক দেখতে সকাল থেকেই ভিড় জমে যায় পুন্ডিবাড়ি ও আশপাশের এলাকায়। অনেকেই মোবাইলে ছবি তুলতে শুরু করেন, ফলে পুলিশ ও বনকর্মীদের ভিড় সামলাতে বেশ বেগ পেতে হয়।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, গত শনিবারের মুষলধারে বৃষ্টিতে তোর্সা নদীর জলে ভেসে আসে একটি গন্ডার। তার পর থেকেই সেটিকে খুঁজছিলেন বনকর্মীরা। গত কয়েক দিনে ঘোকসাডাঙ্গা থানার একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছিল গন্ডারটিকে। খোঁজে নামানো হয়েছিল চারটি কুনকি হাতিও। অবশেষে শুক্রবার সকালে সেই গন্ডারটিরই সন্ধান মেলে পুন্ডিবাড়িতে। বনকর্মীদের তৎপরতায় বন্যপ্রাণীটি নিরাপদে চিলাপাতায় ফিরে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন স্থানীয়রা। তবে লোকালয়ে হঠাৎ বুনো গন্ডারের প্রবেশে এখনো কিছুটা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে এলাকার মানুষের মনে।
দুদিন আগেই বুনো শুয়োরের হামলায় দুই জনের মৃত্যু হল বুনো শুয়োরের হামলায়।মৃতদেহের চিহ্ন দেখে স্থানীয়রাই বুঝতে পারেন, বুনো শুয়োরের হামলাতেই মৃত্যু হয়েছে ওই বৃদ্ধের। এর আগের দিন, সোমবার, একইভাবে প্রাণ হারান আর এক গ্রামবাসী ধীরেন বর্মন (৪৯)। খোপাডুলির তেঁতুলেরছড়া এলাকায় গোরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন ধীরেনবাবু। হঠাৎ পেছন থেকে একটি বুনো শুয়োর আক্রমণ করে তাঁকে।
বন দফতর ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয়দের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সন্ধ্যার পর অজস্র ঝোপঝাড় বা নদীর ধার ঘেঁষে না যেতে। বৃষ্টি না কমা পর্যন্ত পাহারার সংখ্যা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দফতর।