Itahar Missing Case: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানা এলাকায় তিন নাবালিকা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অষ্টমীর দুপুরে তিন বান্ধবী মিলে রায়গঞ্জ শহরে পুজো দেখতে গিয়েছিল। কিন্তু রাতভর বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজনের মধ্যে শুরু হয় উৎকণ্ঠা। শেষমেশ ১ অক্টোবর ইটাহার থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজদের মধ্যে দু’জন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ও একজন নবম শ্রেণির ছাত্রী। বয়স যথাক্রমে ১৩, ১৫ ও ১৫ বছর। তিনজনই স্থানীয় একটি হাইস্কুলের ছাত্রী। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ এখনও পর্যন্ত তাদের কোনও সন্ধান দিতে পারেনি।
এক নিখোঁজ কিশোরীর মা জানান, “অষ্টমীর দিন দুপুরে তিন বান্ধবী একসঙ্গে রায়গঞ্জে পুজো দেখতে গিয়েছিল। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করি। তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি। আমার মেয়ের ফোন সুইচ অফ দেখাচ্ছে।”
অন্য এক অভিভাবকের বক্তব্য, “আমার মেয়ে বা তার দুই বান্ধবীর কারও প্রেমের সম্পর্ক নেই। এমন কোনও ইঙ্গিতও পাইনি। ওরা কোথায় গেল, কিছুই বুঝতে পারছি না। আমরা চাই পুলিশ দ্রুত তদন্ত করে সত্যিটা প্রকাশ করুক।”
তৃতীয় এক মায়ের দাবি, “আমাদের ধারণা কেউ ওদের অপহরণ করে অন্যত্র পাচার করেছে। কারণ, ওদের মধ্যে কারও আচরণে এমন কোনও লক্ষণ কখনও দেখা যায়নি।”
এই ঘটনার পর শুক্রবার তিন পরিবারের সদস্যরা জেলা পুলিশ সুপার মহম্মদ সানা আক্তারের দপ্তরে গিয়ে অভিযোগ জানান। পুলিশ সুপার বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তিন নাবালিকার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে। নিখোঁজের পেছনে কী কারণ, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের আইনজীবী বিশ্বরূপ দেব জানান, “৩০ তারিখে তিনজন নিখোঁজ হয়। বহু খোঁজাখুঁজি করেও কিছুই মেলেনি। অবশেষে পরিবারগুলি এসপি-র দ্বারস্থ হয়েছে।”
গ্রামে এখন আতঙ্কের পরিবেশ। পুজোর আনন্দ ভুলে গেছে তিন পরিবার। পুলিশের তদন্তেই এখন তাঁদের একমাত্র ভরসা।