Bengal Safari Park Siliguri: শিলিগুড়ি ঘোরার আকর্ষণ আরও বাড়তে চলেছে পর্যটকদের কাছে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে রয়্যাল বেঙ্গল, চিতাবাঘ, গণ্ডার, হরিণ, ভাল্লুকের পর এবারর সঙ্গে এবার যোগ হতে চলেছে সিংহ। শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি পার্কে সাফারির জন্য একসঙ্গে চারটি সিংহ আনা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পুজোর আগেই তা আসার কথা। ফলে পুজোর আগেই সাফারি শুরু হয়ে যেতে পারে বলে আশাবাদী সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
লেপার্ড, হাতি, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সাফারি পর, এবার সিংহ সাফারি। ফলে উচ্ছ্বসিত পর্যটক মহল এবং পার্ক কর্তৃপক্ষ। সিংহ আনা হলে পার্কের আকর্ষণ যে বহুগুণ বেড়ে যাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর মধ্যে রয়্যাল বেঙ্গল সাফারি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। পর্যটক মহলে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ছুটে ছুটে আসেন। ভারতের জাতীয় পশুর টানে যারা সুন্দরবনে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁরা নির্বিঘ্নে গাড়িতে করে বাঘের ডেরায় ঢুকে যান। এবার ঠিক একই কায়দায় সিংহের চারিদিকে আপনি বা আপনার চারিদিকে সিংহ ঘুরে বেড়াতে পারে।
কোথা থেকে আসছে পশুরাজ?
আলিপুর চিড়িয়াখানা, রাঁচি এবং ত্রিপুরা থেকে আনা হবে চারটি সিংহ। তার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ৪০ হেক্টর জমিতে এনক্লোজার তৈরি শুরু হয়ে গিয়েছে আগেই। সাফারিতে আলাদা করে খাঁচাও পাতা হচ্ছে সিংহের জন্য। তৈরি করা হচ্ছে ১০ কামরার নাইট সেল্টার। সাফারি পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক কমল সরকার জানিয়েছেন, সিংহের নিজস্ব আচরণ বিধি এবং গতিবিধি রয়েছে। সেই পরিস্থিতি পার্কে তৈরি করে দেওয়ার কাজ চলছে পুরোদমে। ফলে এবার বেঙ্গল সাফারিতে পশুরাজ দর্শন এখন সময়ের অপেক্ষা।
হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্রাভেল ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানিয়েছেন, সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ যেভাবে পরিকল্পনা করে এগোচ্ছে, তাতে খুব দ্রুত এটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সাফারি পার্কে পরিণত হতে পারবে। তাতে শিলিগুড়ি শুধু নয়, গোটা উত্তরবঙ্গ ও সিকিম নিয়ে এই জোনটির অর্থনৈতিক উন্নতি হবে। অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজার্ভেশন অব টুরিজমের কর্ণধার রাজ বসু জানিয়েছেন, সঠিকভাবে পরিচালনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য় দিয়ে এই পার্ক পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।
তবে শুধু সিংহ নয়, জেব্রা, শ্লথ বিয়ার সহ আরও বিভিন্ন রকম প্রাণী আনার চিন্তাভাবনা চলছে। নতুন অতিথির তালিকায় রয়েছে হরিণ প্রজাতির মণিপুরী ডাইসিং ডিয়ার, এলবিনো ব্ল্যাক বার্ডও। সাফারিতে গেলেই সিংহ দেখতে পাবেন পর্যটকরা। সেজন্য জঙ্গলকেও সেভাবে প্রস্তুত করে তোলা হচ্ছে। নভেম্বর, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে ছাড়়পত্র মিলে যাবে বলে আশাবাদী তাঁরা। এরপরই সিংহ আনার কাজ জোর-কদমে শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সিংহ দর্শনে পর্যটকদের খাঁচার মধ্যে রেখে খোলা বনে বাঘ সিংহ দেখানো হবে। জন্তুদের এখানে খোলা জায়গায় দেখা যাবে। এমন বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।