Mathabhanga Student Suicde Case: বিষপান করে আত্মঘাতী ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার ঘটনা। ঘটনার পিছনে গৃহশিক্ষকের প্ররোচনা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়েছিল ওই শিক্ষক বলে অভিযোগ। এমনকী কাউকে বললে খুন করারও অভিযোগ করে।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিশোরীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক পলাতক। তাকে খোঁজা হচ্ছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রীর পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। সেই ভাঙচুরের ঘটনায়ও মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার বিকালে বিষপান করে ১৩ বছরের সেই কিশোরী। তাকে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। চারদিন ভর্তি থাকার পর শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত আইয়ুব হোসেন নামের অভিযুক্ত সেই গৃহশিক্ষক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, গৃহশিক্ষকের কুপ্রস্তাবে রাজি হয়নি ছাত্রীটি। তখন খুন করার হুমকি দিয়েছিল সেই ক্ষিপ্ত গৃহশিক্ষক। সেই ভয়ে বিষ খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ হল সেই ছাত্রী। দাবি পরিবারের। ছাত্রীর বাবা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বুধবার বিকালে আমরা বাড়িতে ছিলাম না। মেয়ে একাই বাড়িতে ছিল। ওই সময় অভিযুক্ত বাড়িতে এসে মেয়েকে খুনের হুমকি দেয়। বাচ্চা মেয়ে ভয়ে বিষপান করে। তাঁরা অভিযুক্তের ফাঁসির দাবি করেছেন।
মেয়ের মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। স্থানীয়দের কেউ কেউ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আগেও এমন অভিযোগ ছিল বলে জানিয়েছেন। কিছুদিন আগেও পাড়ার এক নাবালিকার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছিল। এই নিয়ে সালিশি সভাও বসেছিল। তখনই তাকে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল বলে দাবি তাঁদের।
গৃহশিক্ষকের আচরণ পছন্দ না হওয়ায় ওই শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়ানো বন্ধ করে দেন ছাত্রীর বাবা। কিন্তু গৃহশিক্ষক যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের সদস্যদের নজর এড়িয়ে ছাত্রীটিকে মোবাইল কিনে দিয়েছিল। ফোন করে ছাত্রীকে ঘনঘন কুপ্রস্তাব দেওয়া হত বলে অভিযোগ।