Advertisement

Hotels Ban Bangaldeshi: মালদা-শিলিগুড়ির পর এবার কোচবিহার, বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হোটেলের দরজা

বাংলাদেশে ২৭ বছরের হিন্দু যুবক দীপুচন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যার পর কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা ভারত। সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়েও। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজার শহর কোচবিহারে বাংলাদেশিদের ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। কোনও বাংলাদেশি কোচবিহারে এলে তাদের হোটেলে থাকতে দেবেন না হোটেল ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করেছে তাঁরা।

বাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হোটেলের দরজাবাংলাদেশিদের জন্য বন্ধ হোটেলের দরজা
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • কোচবিহার,
  • 30 Dec 2025,
  • अपडेटेड 6:17 PM IST

বাংলাদেশে ২৭ বছরের হিন্দু যুবক দীপুচন্দ্র দাসের নৃশংস হত্যার পর কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা ভারত। সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়েও। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজার শহর কোচবিহারে বাংলাদেশিদের ঘর না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। কোনও বাংলাদেশি কোচবিহারে এলে তাদের হোটেলে থাকতে দেবেন না হোটেল ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে বৈঠক করে তা চূড়ান্ত করেছে তাঁরা। 

উত্তরবঙ্গ জুড়েই বাংলাদেশিদের হোটেলে থাকতে দিতে নারাজ হোটেল ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যেই মালদা, শিলিগুড়ি-সহ একাধিক জায়গায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এবার রাজার শহর কোচবিহারেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালের পাঁচই অগাস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। পরবর্তী পরিস্থিতিতে শুরু হয় বাংলাদেশের সংখ্যালঘুনিধন। হিন্দুদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি দোকান ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া, তাদের সম্পত্তি দখল এসব চলছেই। মন্দির ভাঙা হচ্ছে। আর ভারত বিরোধী বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক তথা ছাত্রনেতা চরমপন্থী হাদিj মৃত্যুতে বিষয়টি আরও বৃদ্ধি পায়। কাপড় কলে কর্মরত দীপুচন্দ্র দাস নামে হিন্দু শ্রমিককে ব্যাপক মারধর করে আগুনে পুড়িয়ে প্রাণে মারা হয়। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া হয় পশ্চিমবঙ্গ সহ সমগ্র ভারতে। তারপর থেকেই বাংলাদেশিদের আর এদেশে হোটেলে আশ্রয় দিতে নারাজ হোটেল ব্যবসায়ীরা। 

কোচবিহারের সমস্ত হোটেল ব্যবসায়ীদের ডেকে বৈঠক করা হয়েছে। যারা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা সকলে সহমত হয়েছেন এই সিদ্ধান্তে। বাকিদেরও টেলিফোনের মাধ্যমে হোটেল ব্যবসায়ী সংগঠনদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে খুন, লুট, অগ্নিসংযোগ চলছেই। ভারতের বিরুদ্ধে স্লোগানও অব্যাহত। এজন্য শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে প্রতিবাদের পারদ ঊর্ধ্বমুখী। হিন্দুত্ববাদী একাধিক সংগঠন এখানে বিক্ষোভ, পদযাত্রা, মশাল মিছিল করছে। তারা বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিতে চাইছে। হোটেলের বাইরে পোস্টার লাগানো হচ্ছে।

সাংবাদিক: মনসুর হাবিবুল্লাহ

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement