Kaliagunj School Photo Viral Case: সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জেরই একটি গার্লস স্কুলের হস্টেলে ছাত্রীদের স্নানের জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ও আবাসিক ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় হয় গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কালিয়াগঞ্জের আরেকটি স্কুলে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার অভিযোগ ওঠায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
নির্যাতিতা ছাত্রীটির অভিভাবক ওই চার ছাত্রের বিরুদ্ধে কালিয়াগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। শনিবার বিকেলে ওই ছাত্রীর অভিভাবক সহ তার বান্ধবীরা কালিয়াগঞ্জ থানায় এসে ওই ঘটনায় জড়িতদের কঠোরতম শাস্তি চেয়ে বিক্ষোভ দেখান।
নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিভাবক অভিযোগ করেছেন, তাঁর মেয়ের ছবি মোবাইলে তুলে তা এডিট করে নগ্ন ছবি বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেয় ওই স্কুলেরই নবম শ্রেণির চারজন ছাত্র। তিনি বলেন, "বিষয়টি জানার পর আমার মেয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিল। কিন্তু তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করেননি৷ মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।"
এদিকে নির্যাতিতা ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, তার মুখ ব্যবহার করে নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে সবকিছু জানানো সত্ত্বেও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি৷ ছাত্রীটির দাবি, "ওই ছেলেরা স্কুলে মোবাইল নিয়ে আসত। সেটা আমরা কয়েকজন বান্ধবী মিলে প্রধান শিক্ষককে জানিয়েছিলাম। সেই রাগেই ওরা আমার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সেই আক্রোশেই অভিযুক্ত চার ছাত্র ‘এআই’ প্রযুক্তির মাধ্যমে নগ্ন ছবি তৈরি করে সমাজমাধ্যমে তা ভাইরাল করে দেয়।" অভিযুক্ত চার ছাত্রের দৃষ্টান্তমূলক ও কঠোর শাস্তি দাবি করছে নির্যাতিতা ছাত্রী ও তার বান্ধবীরা। তাদের অভিযোগ, এই ঘটনা এবারই প্রথম নয়। গত বছর ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীও এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছিল।
প্রধান শিক্ষক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "স্কুলের ছাত্রীরা আমার কাছে এসেছিল। ওরা আমাকে কোনও ছবি দেখায়নি৷ আজ ওই ছাত্রীর অভিভাবককে স্কুলে ডেকেছিলাম। যেহেতু, এটা স্কুলের বাইরের ঘটনা তাই তাঁকে বিষয়টি থানায় জানাতে বলেছি৷ মূল অভিযুক্তের সাইকেলটি স্কুলেই আটক করে রাখা হয়েছে।"