Advertisement

Nepali Adivasi Alliance North Benegal: বিধানসভার আগে নতুন সমঝোতার ইঙ্গিত, নেপালি-আদিবাসী জোট?

আগামী বিধানসভা ভোটে ডুয়ার্সের (Dooars) তপশিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসনে দুই দলই প্রার্থী দেবে। অজয়ের দল ছাড়া তরাই ও ডুয়ার্সের একাধিক জনজাতি সংগঠনের সঙ্গে আগেই রাজেশ বৈঠক সেরেছেন। তাই ভোটের আগে সংগঠনগুলির মধ্যে জোট তৈরি হলে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) উভয়কেই বেগ পেতে হবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

বিধানসভার আগে নতুন সমঝোতার ইঙ্গিত, নেপালি-আদিবাসী জোটের সম্ভাবনাবিধানসভার আগে নতুন সমঝোতার ইঙ্গিত, নেপালি-আদিবাসী জোটের সম্ভাবনা
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং ও জলপাইগুড়ি,
  • 01 Mar 2025,
  • अपडेटेड 4:24 PM IST

Nepali Adivasi Alliance North Benegal: উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সমতলে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত। ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পাহাড়ের নতুন রাজনৈতিক জোটগুলি এবার হাত বাড়াল সমতলের দিকেও। যাদের সার্বিক সদস্য সংখ্যা বিচার করলে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলির মাথাব্যথা বাড়াতে চলেছে। তার সঙ্গে যদি সমর্থকও জোগাড় করতে পারে তারা, তাহলে একাধিক আসনে উলটপালট করে ফেলা সম্ভব।

বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির নাগরাকাটায় আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা রাজেশ লাকড়ার (Rajesh Lakda) সঙ্গে বৈঠক করলেন ইন্ডিয়ান গোর্খা জনশক্তি ফ্রন্টের নেতা অজয় এডওয়ার্ড (Ajoy Edward-Rajesh Lakra)।

আগামী বিধানসভা ভোটে ডুয়ার্সের (Dooars) তপশিলি উপজাতি সংরক্ষিত আসনে দুই দলই প্রার্থী দেবে। অজয়ের দল ছাড়া তরাই ও ডুয়ার্সের একাধিক জনজাতি সংগঠনের সঙ্গে আগেই রাজেশ বৈঠক সেরেছেন। তাই ভোটের আগে সংগঠনগুলির মধ্যে জোট তৈরি হলে তৃণমূল (TMC) ও বিজেপি (BJP) উভয়কেই বেগ পেতে হবে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে বিধানসভা ভোটের হিসেব ছাড়াও পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন জনজাতির সমস্যাগুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। রাজেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তরাই ও ডুয়ার্সের আদিবাসীদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। চা শিল্পে বাণিজ্যিক কাজকর্ম করার অনুমতি দিয়ে শিল্পের দফারফা করতে উদ্যত হয়েছে শাসকদল। এতে আদিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এডওয়ার্ড অবশ্য বৈঠক নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

আরও পড়ুন

আইএনটিটিইউসির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি ছিলেন রাজেশ লাকড়া। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর তিনি তৃণমূল ছেড়ে নতুন আদিবাসী সংগঠন গঠন করেন। তিনি বললেন, ‘কামতাপুরি ও রাজবংশীদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা আদিবাসীদের জন্য ডুয়ার্স তরাইয়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফশিল কার্যকর করতে চাই। এখানকার বিভিন্ন জনজাতিকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকাতেও পৃথক রাজ্যের দাবি জোরদার হচ্ছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে পাহাড় থেকে ডুয়ার্সের সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলিকে নিয়ে একটি মঞ্চ গড়তে চাই। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে যেখানে যার ভোট ও সাংগঠনিক শক্তি বেশি সেখানে তারাই প্রার্থী দেবে। বাকিরা সহযোগিতা করবে।’

Advertisement

তরাই ও ডুয়ার্সে বিভিন্ন জনজাতি সংগঠনের একত্রে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী দিলে রাজ্যের শাসকদলের ভোট কমতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যদিও এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি মহুয়া গোপের কথায়, ‘রাজ্যভাগের বিরুদ্ধে বিধানসভায় আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে বিজেপিও সমর্থন জানিয়েছে। কিন্তু ডুয়ার্সের আদিবাসী থেকে পাহাড়ের মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়ন বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই সকল এলাকার বাসিন্দারা একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। ডুয়ার্স ও পাহাড় শান্ত আছে। তৃণমূলের (TMC) ভোট বাড়বে।’

 

Read more!
Advertisement
Advertisement