Alipurduar Woman Assault Case: আলিপুরদুয়ার শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সমাজনগর, ভাটিখানা এলাকায় চুরির সময় এক গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের তৎপরতায় ধরা পড়ে অভিযুক্ত। উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সেই চোরকে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুই চোর মিলে পরিকল্পনা করেছিল। রাত ২টা নাগাদ একজন জানালা খুলে ঘরে ঢুকে পড়ে, অন্যজন বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে নজর রাখছিল। চুরি শেষে এক মহিলার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে অভিযুক্ত। অভিযোগ, টাকা ও মোবাইল চুরির পর তাঁকে শারীরিকভাবে নিগ্রহের চেষ্টা করে চোর।
বধূ জানান, পাশেই ঘুমিয়ে থাকা শিশুর জন্য তাঁর মুখ চেপে ধরা হয়। সেই মুহূর্তে সাহসিকতা দেখিয়ে তিনি চোরের হাতে কামড় বসান এবং চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা ছুটে এসে চোরকে তাড়িয়ে দেন। পরে ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় অভিযুক্তকে পাকড়াও করে বেঁধে রেখে মারধর করা হয়।
পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় এবং মহিলার পক্ষ থেকে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, অভিযুক্ত অসমের বাসিন্দা। আলিপুরদুয়ার শহরে স্থানীয় এক চোরের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বারংবার চুরির কাজে যুক্ত ছিল সে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আলিপুরদুয়ার শহরে চুরির জন্য রেইকি করানো হত। তারপর সুযোগ বুঝে অসম থেকে অভিযুক্ত এসে ‘অপারেশন’ চালাত।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে অভিযুক্তের সঙ্গে সম্প্রতি জংশন এলাকায় ঘটে যাওয়া একাধিক চুরির যোগসূত্রও মিলেছে। তার কাছ থেকে চুরি হওয়া কিছু টাকা ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। নির্যাতিতার দাবি, "ঘরে শিশুকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। গভীর রাতে মুখ চেপে ধরা হয়, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা হয়। টাকা ও মোবাইল চুরি করেও ক্ষান্ত হয়নি ওই ব্যক্তি।"