Bengal Tiger Royal Bengal Tiger cubs: বাংলার গর্ব ছড়িয়ে পড়ল ত্রিপুরা পর্যন্ত। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে প্রাণী বিনিময় প্রক্রিয়ায় ত্রিপুরার সিপাহিজালা জুওলজিক্যাল পার্কে পাঠানো হয়েছিল একজোড়া রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার – তেজল ও শেরা। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের পাঠানো হয়েছিল। এক বছর পরেই সেই জুটির কোল আলো করে জন্ম নেয় তিনটি ফুটফুটে বাঘ শাবক।
এই আনন্দ সংবাদে যেমন উৎফুল্ল ত্রিপুরা রাজ্য বন দফতর, তেমনই গর্বিত পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তরও। বর্তমানে সিপাহিজালায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা দাঁড়াল ৭।
উল্লেখযোগ্য যে, কেন্দ্রীয় সরকারের 'অ্যানিমেল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম'-এর অধীনে এই আদান-প্রদান হয়। সেই অনুযায়ী ত্রিপুরা থেকে শিলিগুড়িতে সিংহ, চশমা বাঁদর, ব্ল্যাক বাক ও লেপার্ড ক্যাট আসে এবং বিপরীতে বেঙ্গল সাফারি থেকে যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার সহ অন্যান্য প্রাণী।
এই বিষয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা সংবাদমাধ্যমকে জানান, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংরক্ষণে ও প্রজননে আমরা দেশের নজির স্থাপন করেছি। ত্রিপুরা থেকে আমরা একজোড়া সিংহ পেয়েছি আর তেজল-শেরা তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছে—এটি খুব আনন্দের।
বর্তমানে বেঙ্গল সাফারি পার্কে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ১১টি। অতীতে মাত্র ৩টি বাঘ নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও, কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় সেই সংখ্যা বেড়েছে লাফিয়ে। তবে এর মধ্যে কিছু হতাশার ঘটনাও রয়েছে। গত বছর সাদা বাঘ ‘রিকার’ অসাবধানতায় তিনটি শাবক জন্ম দিয়েও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেগুলি মারা যায়। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত চারটি শাবকের মৃত্যু হয়েছে সাফারিতে।
তবুও সামগ্রিকভাবে এই ঘটনা বাংলার বন ব্যবস্থাপনার বড় প্রাপ্তি—যেখানে এক রাজ্যের বাঘ আরেক রাজ্যে গিয়ে জন্ম দিয়ে দেশব্যাপী সংরক্ষণ উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই কনটেন্ট চাইলে আমি PDF, Google Docs বা Word ফাইল আকারে পাঠাতে পারি—আপনি শুধু ফরম্যাট জানিয়ে দিন।