Bimal Gurung Goes to Delhi: এক সময় পাহাড়ের একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করলেও, প্রত্যাবর্তনের পর সময়টা একদমই ভাল যাচ্ছে না বিমল গুরুংয়ের। একের পর এক নির্বাচনে দাঁড়িয়ে হেরেছেন। দেওয়াল লিখন পড়তে অসুবিধা হয়নি যে পাহাড়ের মানুষ আর তাঁর প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। এই পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে পাহাড়ের স্থায়ী সমাধানের দাবিতে আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন। অনেকে বলছেন ঘুরিয়ে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবির পুরনো রাস্তাতেই রাজনীতিতে জমি ফিরে পেতে চাইছেন বিমল-রোশনরা।
নারী মোর্চাকে সামনে রেখে বিমল গুরুং দিল্লি থেকে ফের পুরনো দাবিতে আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন শুক্রবার। নারী মোর্চা গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে ধর্নায় বসতে চলেছে। জানিয়ে দিলেন সুপ্রিমো বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। তিনি জানান, প্রতি বছর নির্বাচনের সময় বিজেপি (BJP) পাহাড়ে এসে গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু ভোট কেটে গেলেই সেই প্রতিশ্রুতির কথা তারা ভুলে যায়। বিজেপির সেই প্রতিশ্রুতির বিরুদ্ধে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে দিল্লিতে (Delhi) ধর্নায় বসতে চলেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নারী মোর্চা।
দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না কর্মসূচি পালন করতে চলেছে তারা। সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই বুধবার দিল্লি গিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং। যাওয়ার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "NDA এর সঙ্গে আর কোনও জোট নেই। মোর্চা স্বতন্ত্রভাবে লড়াই করবে। নির্বাচনী ইসতেহারে বিজেপির প্রতিশ্রুতির কী অবস্থা আছে তা নিয়ে ধর্না। এর থেকেই বিমল গুরুং আরও একবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পাহাড়ে বিজেপির সঙ্গে যে জোট হয়েছিল, আজ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সেই জোট থেকে আজ সরে এসেছে।"
পাহাড়ের একদা একচ্ছত্র অধিপতি সুভাষ ঘিসিংকে সরিয়ে পাহাড়ের ক্ষমতার দখল নিয়েছিলেন বিমল গুরুং।ঘিসিংয়ের দল জিএনএলফ থেকে বেরিয়ে খুলেছিলেন নতুন দল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বেশ কিছু বছর ক্ষমতা ছিল বিমলের হাতেই পাহাড়ে গাছের পাতা পর্যন্ত নড়ত তাঁর অনুমতি নিয়েই। এতটাই ছিল দাপট। এরপর জিটিএ গঠন হলেও তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ পদে। কিছুদিন পর অবশ্য নানা ইস্যুতে রাজ্যের সঙ্গ সংঘাতের পর জিটিএ ছেড়ে হিংসাত্মক আন্দোলনের পথে নামেন। আন্দোলন ব্য়র্থ হয় আর তাঁকে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে একের পর এক জামিন অযোগ্য মামলায়ে জড়িয়ে পড়ে পাহাড় ছাড়তে হয়। তাঁর জায়গা নেন তাঁরই একদা অনুগত বিনয় তামাং-অনিত থাপারা। এরপর মামলা খারিজ হলে তিনি পাহাড়ে ফিরে এলেও আর জায়গা ফিরে পাননি। একের পর এক নির্বাচনে হেরে তিনি এখন পাহাড়ে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন। ফলে নতুন করে জায়গা ফিরে পেতে তাঁকে ফের নতুন কোনও পদক্ষেপ করতে হতোই বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের।