
যত কাণ্ড পশ্চিমবঙ্গে! হ্যাঁ, এ বার মালদায় এক বিএলও-এর স্বামীকে মারধর। আহত ব্যক্তি এখন ভর্তি হাসপাতালে। বিজেপির অভিযোগ এই কাজটা করেছে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা।
ও দিকে বিএলও-এর দাবি, এই ঘটনার পর তিনি পুলিশে অভিযোগ জানাতে যায়। কিন্তু পুলিশ তাকে নিজেদের মধ্যে কথা বলে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে। তারপর সেই বিএলও বিডিও অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানান। তখন পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয় এফআইআর। এমনকী শুরু করা হয়েছে তদন্ত। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই নতুন করে ক্ষোভ দানা বাঁধছে।
সূত্রের খবর, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বিএলও-এর স্বামী। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনা মালদার হরিশচন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দাতিয়া গ্রামে ঘটেছে।
যদিও এই ঘটনার তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যেই হরিশচন্দ্রপুর সাউথ সার্কেলের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকরা হরিশচন্দ্রপুর ব্লক ২-এর বিডিও-এর কাছে চিঠি দিয়েছেন। তারা এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত চেয়েছেন। পাশাপাশি দোষীর বিরুদ্ধে যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হয় এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, সেই দাবিও করা হয়েছে। পাশাপাশি অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে যদি দ্রুত গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন তারা। এখন দেখার পুলিশ কী করে।
কী জানাচ্ছেন বিএলও?
এই ঘটনা সম্পর্কে সেই বিএলও-একাধিক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন বিএলও নিবেদিতা মণ্ডল। তিনি দাবি করেন, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত কাসিমুদ্দিন রাতে ঘরে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। তারপর পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের মিটমাট করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও শিক্ষক সমাজ একত্রে হয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছে। সেই কারণে আপাতত পুলিশ এফআইআর নিয়েছে।
তবে এখনও সেই বিএলও আতঙ্কে রয়েছেন। রাতে ঘর থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছেন। অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত ভয় কাটবে না বলে জানান নিবেদিতা।
এই ঘটনা থেকে দূরত্ব তৈরি করতে ব্যস্ত তৃণমূল। তাদের পক্ষ থেকে আইএনটিটিইউসি-এর প্রেসিডেন্ট সাহেব দাসের দাবি, দোষী যেই হোক, যে কোনও দলের হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন দেখার পুলিশ সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কত কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারা কোনও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন কি না।