Anant Maharaj: কোচবিহারে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে আশ্রমে ঢুকে এক সন্ন্যাসীকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার জেরে সিতাই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি অনন্তকে আশ্রমে ফিরে এসে পা ধরে ক্ষমা চাইতে হবে। পাশাপাশি অনন্ত মহারাজকে গ্রেফতারের দাবিও করেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনন্ত মহারাজ, দশমীতে অর্থাৎ রবিবার সন্ধ্যায় সিতাইয়ের রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সেবা আশ্রমে এসেছিলেন। ধর্মীয় আলোচনাকে কেন্দ্র করে আশ্রমের সন্ন্যাসী বিজ্ঞানানন্দ তীর্থ মহারাজের সঙ্গে অনন্তের ঝগড়া শুরু হয়। তর্কাতর্কির সময় বিজ্ঞানানন্দকে ধাক্কা দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে অনন্ত মহারাজের বিরুদ্ধে। অনন্ত মহারাজের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠজনরাও ছিলেন। এমনকী কটুক্তি গালিগালাজও করেন অনন্ত বলে অভিযোগ। এরপরই অনন্ত আশ্রম ত্যাগ করেন।
ঘটনার কথা প্রচার হতেই গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বিজ্ঞানানন্দের পক্ষ নিয়ে অনন্তর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করতে থাকেন। সিতাই -মাথাভাঙ্গা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন এবং অনন্ত মহারাজকে গ্রেফতারের দাবি জানান। এরপর সিতাই থানার পুলিশ গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি তখনকার জন্য মিটমাট করে। তবে গ্রামবাসীরা তাঁদের দাবিতে অনড় রয়েছেন বলে জানান।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এবং পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। রামকৃষ্ণ মঠের মহারাজকে হেনস্থার অভিযোগ প্রসঙ্গে কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াও সংবাদমাধ্য়মে ঘটনার নিন্দা করেছেন। তবে এ ঘটনায় রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীর পাশে রয়েছেন বলে জানালেও এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি বিজেপির। বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। এটি অনন্ত মহারাজের ব্যক্তিগত বিষয়। বিজেপি কোনও অন্যায়কে সমর্থন করে না। আমরা আশ্রমের মহারাজের সঙ্গে আছি। তবে এখনও পর্যন্ত অনন্ত মহারাজ বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি।