মাদারিহাট বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে গিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন পুলিশের বিরুদ্ধে। মাদারিহাটে প্রচারে এসে পুলিশের ওপরে ক্ষেপে গেলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি যখন বীরপাড়া বাজারের দোকানগুলিতে যান জনসংযোগের জন্য তখন শুভেন্দু অধিকারী দেখেন রাস্তায় দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করেছে রাজ্য পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারে সাংসদ ইউসুফ পাঠান আসবেন বলে দড়ি দিয়ে ঘেরা ছিল রাস্তার একপাশের অংশ। আর তা দেখেই রেগে যান শুভেন্দু অধিকারী। পুলিশের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন , পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাস হয়ে এসব করছে।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন BJP সাংসদ রাজু বিস্তা ও মনোজ টিগ্গাও। আগামী ১৩ম নভেম্বর আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বিধানসভায় হবে উপনির্বাচন। শেষ প্রচারে ঝড় তুলতে বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ইউসুফ পাঠানের একইদিনে সভা ও ব়্যালি ছিল এই কেন্দ্রে৷ সেজন্য দুই দলের কর্মীদের বীরপাড়ায় জমায়েত ঘিরে যাতে কোনও বিবাদ না হয় তাই পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল রাস্তায়। তবে ইউসুফ পাঠানের জন্য রাস্তায় দড়ি দিয়ে একপাশ ব্যারিকেড করা হলে ক্ষেপে যান শুভেন্দু অধিকারী।
এই বিষয়কে কটাক্ষ করেন সাংসদ রাজু বিস্তা। তিনি বলেন এখানে কোনও ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে না। এখানে এমন কাউকে TMC প্রচারে আনত যে চা শ্রমিকের কষ্ট বুঝবে তাহলে মানা যেত। একপ্রকার ফের বহিরাগত তত্ত্ব এনে ইউসুফ পাঠানকে কটাক্ষ করেন রাজু বিস্তা।
রাজ্যে যে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে, তার মধ্যে একমাত্র মাদারিহাটই বিজেপির দখলে ছিল। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সেই বিধানসভা এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। বীরপাড়ায় গিয়েন বন্ধ চা-বাগান, চা-শ্রমিকদের অবস্থা, মেডিক্যাল কলেজ তৈরির প্রতিশ্রুতি-সহ নানা স্থানীয় বিষয় তুলে ধরেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গেই তাঁর আহ্বান, “অভয়ার মা-বাবাকে দেখে সকলে জেগে উঠেছেন। কেউ ভয় পাবেন না, সকলে নির্ভয়ে ভোট দেবেন।’’
প্রতিবেদনঃ অহনা চট্টোপাধ্যায়