Shankar Ghosh Protest Bjp Mla Siliguri: মঙ্গলবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভা রয়েছে। তার জন্য সমস্ত প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে। স্টেডিয়ামে খেলার বদলে কেন সভা? এই নিয়ে ক্রীড়ামহলে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। অনেকেই শাসকের রোষনজরে পড়ার ভয়ে মুখ খুলছেন না। তবে বিরোধী দল বিজেপির সেই বাধ্যবাধকতা নেই। শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ প্রতিবাদ বিক্ষোভে নামেন। তবে তাঁকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ দেখাতে গেলে পুলিশ তাঁকে বাধা দেয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
খেলার মাঠে খেলা বাদে অন্য কোনও অনুষ্ঠানে আপত্তি আগেই জানিয়েছিলেন বিধায়ক। তিনি পুলিশের কাছে অনুমতিও চান, কিন্তু পুলিশ দেয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। অনুমতি না দিলেও তিনি প্রতিবাদ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। পূর্ব ঘোষণা মতো সোমবার বিকেলে স্টেডিয়ামের সামনে ধর্না দিতে যান বিধায়ক। ‘খেলার মাঠে খেলা হবে’— এই স্লোগান দেন বিধায়ক এবং তাঁর সঙ্গীরা। সঙ্গে ছিলেন কুমারগঞ্জের বিধায়ক মনোজ ওঁরাও। ধর্নার জন্য হাসমি চকে উপস্থিত হতেই বাধা দেয় পুলিশ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয় শঙ্কর, মনোজের এবং বিজেপি কর্মীদের। পরে আটক করার হয় বিধায়ক শঙ্করকে। তাঁকে রাস্তা থেকে টেনে গাড়িতে উঠিয়ে শিলিগুড়ি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
শঙ্কর দাবি করেন, পুলিশ কমিশনার নিজে তাঁকে ফোন করে ১২ তারিখ ধর্নায় না বসার অনুরোধ করেন। বলা হয়, ধর্না দিলে তাঁদের চাকরি চলে যাবে! শঙ্করের কথায়, ‘‘এই কারণেই ধর্না দিতে ১১ তারিখ এসেছি। কিন্তু তার পরেও পুলিশের এমন আচরন!’’ পাশাপাশি, তিনি বলেন, ‘‘এর পরও আমি আমার কথা বলব। আমার কণ্ঠরোধ করা যাবে না।’’ যদিও এ নিয়ে পুলিশ কোনও মন্তব্য করেনি।
শিলিগুড়িতে এই সময় কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সুপার ডিভিশন ফুটবল লিগ চলছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সভা হবে বলে খেলা বাতিল করে দেওয়া হয়। প্রায় দিন ২০ খেলা বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। এরপরই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। শঙ্কর ঘোষের দাবি, লিগের খেলা বন্ধ করে রাজনৈতিক সভা হচ্ছে। রাজনৈতিক ভাবে সব সময় স্টেডিয়ামকে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠে সভার বিরোধিতা করে ১১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে ১২ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত হাসমি চকে ধর্নায় বসছেন বলে ঘোষণা করেন তিনি। জানান, কোনও দলীয় প্রতীকে নয়, সাধারণ মানুষ হিসাবে ধর্নায় বসার আবেদন জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। অন্য দিকে, এই ধর্না নিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘প্রশাসন তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।’’