Malda Hanging Case: মুখ ও দুটি হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। আম গাছে ঝুলন্ত যুবকের দেহ। দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠেন এলাকার লোকজন। কাছে গিয়ে বোঝা যায়, এলাকারই যুবকের দেহ সেটি। দেহে যে প্রাণ নেই তা বুঝতে কারও বাকি ছিল না। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্যা পাঠিয়েছে। গাজোল থানার আইসি চন্দ্রশেখর ঘোষাল জানান, একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনাটি মালদার গাজোলের বাবুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিংহইল গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম ইমাম রাজা। বয়স ২৪ বছর। এটি আত্মহত্যা না খুন, তা নিয়ে ধন্দ শুরু হয়েছে। পরিবারের দাবি, ইমামকে খুন করে তাঁর দেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে জঙ্গলে একটি আম গাছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে খাওয়া দাওয়া সেরে পাশের ঘরে ঘুমাতে যান ইমাম। রাত ১টা নাগাদ তিনি শৌচকর্ম করতে ওঠেন। পরে বাবা ইমারুদ্দিন মিয়াঁ দেখতে পান, ইমামের ঘরের দরজা খোলা। তিনি ঘরে নেই। রাতে থেকেই ইমামের খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকজন। শুক্রবারও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে খোঁজাখুঁজি। অবশেষে বিকেল ৩টে নাগাদ পরিবারের কাছে খবর আসে, ইমামের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ইমামের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইমামকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
মৃতের স্ত্রী রুমা খাতুন জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী তেমন কোনও কাজকর্ম করতেন না। বেশিরভাগ সময় মোবাইলে জুয়া খেলতেন। এর জেরে বাজারে প্রায় ৪০-৫০ লক্ষ টাকার মতো দেনা হয়ে গিয়েছিল ইমামের। মৃত্যুর পিছনে এটির কোনও সংযোগ রয়েছে কি না, তা নিয়ে খোঁজখবর করছে পুলিশ।