উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টি, হড়পা বানে যে ধ্বংসলীলা চলেছে, তার ক্ষত এখনও দগদগে। ফের উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নাগরাকাটায় মৃতদের পরিবারের একজন করে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রাণ বিলিও করলেন। পাশাপাশি, উত্তরবঙ্গে দুর্যোগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির জন্য ভুটানকেও দায়ী করলেন তিনি। ভুটান সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইলেন।
মৃতদের পরিবারের ৭ জনের হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র
রবিবারই দ্বিতীয় দফায় উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আলিপুরদুয়ারের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আজ অর্থাত্ সোমবার যান নাগরাকাটায়। সেখানে মৃতদের পরিবারের ৭ জনের হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র দেন। দুর্যোগে দিশেহারা বাসিন্দাদের রাজ্য সরকারের তরফে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিলেন। মমতার কথায়, 'ভুটানের জলেই এই বড় ঘটনা ঘটেছে। আমরা চাইছি, ওরাও ক্ষতিপূরণ দিক।' কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, 'সবটাই তো আমাদের করতে হয়। দিল্লি এক পয়সাও দেয় না। যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। একটা করে চাকরি দেব বলেছিলাম, তারও ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। আজই চাকরির নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন।'
ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন
মমতার বক্তব্য, ইন্দো-ভুটান নদী কমিশন গড়ে, সেখানে বাংলাকে সদস্য করার দাবি অনেক দিন ধরেই জানানো হচ্ছে। কিন্তু কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। তিনি বলেন, 'হঠাৎ করে নদীর জল ঢুকে পড়ায়,যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে ইতিমধ্যেই আমরা ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। আর আমি বলে গিয়েছিলাম, যারা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে একটা করে চাকরি দেব, আপনাদের এখানে নাগরাকাটায় সেই চাকরিটা, আমি রেডি করে নিয়ে এসেছি। সেটা আমি দিয়ে দেব আপনাদের।'
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ছেলেমেয়েদের অনেক কাগজপত্র হারিয়ে গিয়েছে, সেই জন্য স্পেশাল ক্যাম্প করা হবে, এখানে হচ্ছে ক্যাম্প, যার যা হারিয়েছে, এখানে লেখান, তাহলে ডুপ্লিকেট কাগজ পাবেন বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।