Malda Congress Worker Murder Case: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে অশান্ত মালদা। এবার এক কংগ্রেসকর্মী খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত মালদার মানিকচক। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ওই কংগ্রেস কর্মীকে। ওই যুবকের বাবার অভিযোগ দুষ্কৃতীরা তৃণমূল আশ্রিত। যদিও তৃণমূলের তরফে এই ঘটনাকে পারিবারিক বিবাদের কারণে হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীর চাকরি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করে ধরমপুর স্ট্যান্ড থেকে বাইকে করে কংগ্রেস কর্মী আকমল শেখ ও তার সঙ্গী গোপালপুরে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন। রাস্তার মাঝে ফাঁকা আম বাগানে তৃণমূল আশ্রিত বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের আটকে রাস্তা থেকে ভেতরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাইক চালককে মারধর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় কিন্তু কংগ্রেস কর্মী আকমল শেখকে আম বাগানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে প্রথমে শাবল দিয়ে পায়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। পরে হাঁসুয়া দিয়ে নৃশংস ভাবে কোপায়। বাইক চালক সবাইকে খবর দিলে দুষ্কৃতীরা তখন এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।
স্থানীয়রা তড়িঘড়ি আকমলকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আকমল শেখের বাবা বলেন, ‘ছেলে সেনাবাহিনীতে চাকরি পরীক্ষার জন্য ফর্ম ফিলাপ করে বাড়ি ফিরছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। এই সব কিছু হয়েছে গোপালপুর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মহাম্মদ নাসিরের নেতৃত্বে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তাঁর আরও অভিযোগ লোকসভা ভোটে তৃণমূল খারাপ ফল করায় খুন করে বদলা নিচ্ছে।
তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসিরের সাফাই, ‘এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের বা তৃণমূলের কোনও যোগাযোগ নেই। ঘটনা খুবই দুঃখজনক। পুলিশ নিশ্চয় সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হোক। কংগ্রেসের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেন তাঁরা এমন অভিযোগ করছেন জানি না।