
Coochbehar Hotel Prostitution Case: নিউ কোচবিহারের রেলস্টেশন সংলগ্ন এক হোটেলে ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। অভিযোগ, অসম থেকে এক নাবালিকাকে প্রলোভন দেখিয়ে এনে সেই হোটেলেই বিক্রি করে দেওয়া হয়। এরপর তাকে আটকে রেখে জোর করে যৌনপেশায় নামানো হয়। শেষমেশ সেই নাবালিকা কোনওভাবে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তার বয়ানে প্রকাশ্যে আসে মানব পাচারের ভয়াবহ চিত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের বিলাসিপাড়া থানার অন্তর্গত এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীকে তারই এক দূর সম্পর্কের বৌদি নিউ কোচবিহারে নিয়ে আসে। ১৯ অক্টোবরের পর থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। এরপর শনিবার ফকিরাগ্রাম রেলস্টেশন থেকে তাকে উদ্ধার করে বিলাসিপাড়া থানার পুলিশ। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় তদন্ত।
রবিবার সকালে বিলাসিপাড়া থানার ওসি রাতুল হালোইয়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ নিউ কোচবিহার রেলস্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলে হানা দেয়। সেখানে তল্লাশিতে গ্রেফতার করা হয় হোটেলের ম্যানেজার শ্যামল দাস এবং কর্মচারী রাজু সেনকে। পুলিশ জানায়, ওই হোটেল থেকেই চলত গোপন দেহব্যবসা। বর্তমানে দু’জনকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ওই হোটেলটি বহুদিন ধরেই সন্দেহজনক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল, কিন্তু প্রশাসন চোখ বন্ধ করে রেখেছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমাদের এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে ভাবতেই শিউরে উঠছি। পুলিশের উচিত সব হোটেলে নজরদারি বাড়ানো।”
পুণ্ডিবাড়ি থানা এবং স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এত বড় পাচারচক্র চালানোর পরও কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়াল? গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কমল রায় বলেন, “যদি অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে এটি খুবই লজ্জাজনক। দোষীদের কড়া শাস্তি হওয়া উচিত।”
পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে ওই পাচারচক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্য কেউ আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আপাতত এই ঘটনার পর থেকেই নিউ কোচবিহার ও আশপাশের হোটেলগুলিতে বেড়েছে পুলিশের নজরদারি।