Coochbehar Teacher Missing Case: ৫ দিন ধরে নিখোঁজ কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়ির এক শিক্ষক। তোলপাড় করে খোঁজাখুঁজি করেও যাঁর হদিশ পাননি পরিবারের লোকেরা। ৫ দিন পর বাড়িতে এল তাঁর হাতে লেখা চিঠি। পরিবারের দাবি তাতে লেখা রয়েছে, তিনি সমস্যায় পড়েছেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। এমনকী ওই চিঠিতে কারও নাম লেখা রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। তবে সেই নাম কার, তা জানাতে রাজি হননি তাঁরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ মার্চ প্রাথমিক স্কুলের ওই শিক্ষক অরিন্দম ধর বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। পুণ্ডিবাড়ি থানা এলাকার বাসিন্দা তিনি। তারপর পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এর মধ্যেই সোমবার বছর ৪৫-এর ওই শিক্ষকের বাড়িতে একটি চিঠি আসে। চিঠির হাতের লেখা অরিন্দমেরই বলে মনে করা হচ্ছে।
অরিন্দমবাবু ও তাঁর স্ত্রী মান্টি দে দুজনেই কোচবিহার-২ ব্লকের অন্তর্গত পেটভাতা চন্দনচৌড়া এলাকার একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করেন। গত বুধবার সকাল আটটা নাগাদ অরিন্দম বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। নিখোঁজ হওয়ার দিন সকালে কোচবিহারের কোনও একটি অফিসে কাজ রয়েছে বলে তিনি বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকেই তাঁর মোবাইল সুইচ অফ হয়ে যায়। যার ফলে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়েছে শিক্ষকের গোটা পরিবার। সেদিন রাতেই শিক্ষকের স্ত্রী পুণ্ডিবাড়ি থানায় মিসিং ডায়েরি করেন।
সোমবার পোস্ট অফিসের মাধ্যমে মালদা থেকে অরিন্দমের বাড়িতে একটি চিঠি এসে পৌঁছায়। অরিন্দমের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত ১২ মার্চ থেকে অরিন্দমবাবু নিখোঁজ। এর মধ্যে সোমবার স্পিড পোস্টের মাধ্যমে একটি চিঠি তাঁদের কাছে এসেছে। চিঠিটিতে হাতের লেখা অরিন্দমেরই বলে তিনি মনে করছেন। চিঠিটি মালদা থেকে পাঠানো বলে দেখা গিয়েছে। সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হচ্ছে।
কী রয়েছে চিঠিতে?
নিখোঁজ শিক্ষকের স্ত্রী জানান, চিঠিতে অরিন্দম ভীষণ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন বলে লেখা রয়েছে। পাশাপাশি চিঠিতে এক তরুণের নাম রয়েছে। ওই তরুণ সমস্ত ঘটনাই জানেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে রহস্যজনকভাবে অরিন্দম নিখোঁজ হলেন তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুরো ঘটনাটির পিছনে অন্য কোনও কাহিনী থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।