Advertisement

Bangladesh Border Sealed: দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তে হাই অ্যালার্ট, রাতে একাধিক পণ্য পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা

Bangladesh Border Sealed: জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মনিয়াম টি. BNSS-এর ১৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্দেশিকা জারি করেছেন। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, হিলি, গঙ্গারামপুর, কুশমণ্ডি ও তপনের থানাগুলিকে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে।

Aajtak Bangla
  • হিলি,
  • 21 Nov 2025,
  • अपडेटेड 12:58 AM IST

Bangladesh Border Sealed: দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্তজুড়ে জারি হল কড়া সতর্কতা। জেলা প্রশাসন ১৮ নভেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধে ছ’টা থেকে সকাল ছ’টা পর্যন্ত পণ্য আনা-নেওয়ার উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। এই সময়সীমায় সীমান্তমুখী পথে মোট ৭৭ ধরনের পণ্য বহনে বিধিনিষেধ থাকবে।

জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মনিয়াম টি. BNSS-এর ১৬৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী নির্দেশিকা জারি করেছেন। বালুরঘাট, কুমারগঞ্জ, হিলি, গঙ্গারামপুর, কুশমণ্ডি ও তপনের থানাগুলিকে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, সীমান্তের আট কিলোমিটারের ভিতরে চাল, গম, ডাল, শিশু খাদ্য, মাছ, প্লাস্টিক সামগ্রী, টায়ার-টিউব, বৈদ্যুতিক দ্রব্য সহ অনেক জিনিসই রাতে সীমান্ত পথে নেওয়া যাবে না।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, সীমান্তের তিনশো মিটার এলাকায় রাতের বেলায় গবাদি পশু চরানো বন্ধ রাখতে হবে। একই সঙ্গে সীমান্ত বেড়া থেকে পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে তিন ফুটের বেশি উচ্চতার ফসল আপাতত চাষ করা যাবে না। প্রশাসনের দাবি, রাতের অন্ধকারে পণ্য ও পশু পাচারের প্রবণতা বাড়ছে বলেই এই কড়া নজরদারি জরুরি। পাচারকারীদের দৌরাত্ম্যে সীমান্তবাসীর নিরাপত্তা ও শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে সরকারি চিঠিতে।

আরও পড়ুন

তবে প্রশাসনের একাংশের মতে, বাংলাদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড সংক্রান্ত উত্তেজনার প্রভাবেই সীমান্তে বাড়তি নজরদারি করা হচ্ছে। যদিও জেলাশাসক এই বক্তব্য মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, সীমান্ত এলাকায় সময় সময় এ ধরনের নির্দেশিকা দেওয়া হয় এবং এটি প্রশাসনিক প্রয়োজনেই করা হয়েছে।

এদিকে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে অস্বস্তি বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, রাতের পর প্রয়োজনীয় বাজার, শিশু খাদ্য, মাছ কিংবা কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় জিনিস আনা-নেওয়ায় সমস্যায় পড়তে হবে। জীবিকা ও নিত্যদিনের চলাফেরা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে এখন উদ্বেগের ছায়া।

Read more!
Advertisement
Advertisement