Jaldapara Forest Closed: অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। লাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড়ের পাশাপাশি বন্যা পরিস্থিতি ডুয়ার্সেও। জলঢাকা, তোর্সা নদী উপচে জল ঢুকছে পার্শ্ববর্তী এলাকায়। দীর্ঘদিন পর তোর্সার জল উপচে প্লাবিত হয়ে পড়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বিস্তীর্ণ বনভূূমিতে। তৃণভূমি জলের তলায়। ফলে প্রাণ বাঁচাতে লড়ছে বন্যপ্রাণীরাও।
একাধিক ভিডিওতে দেখা দিয়েছে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে গণ্ডার, হরিণ, সম্বর সব ভেসে যাচ্ছে। গণ্ডার-হরিণের মৃত্যুর ছবিও সামনে আসছে। সোমবারও জল নামেনি। আবার শনিবার রাত থেকে চলা বৃষ্টি পুরোপুরি থামেনি রবিবারও। ফলে কিছুটা জল নামলেও এখনও সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত হয়নি পরিস্থিতি। ফলে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ বন দফতর। এই সময় ডুয়ার্সে প্রচুর পর্যটক থাকে। যার অন্যতম আকর্ষণ জলদাপাড়ার একশৃঙ্গ গণ্ডার। এদিকে বন্যপ্রাণীগুলো নিজেরাও জলে ভেসে ডাঙা খুঁজে বেড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত সমস্ত রকম সাফারি ও জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হল। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।
অতি বৃষ্টিতে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিরিক। সেখানে ব্রিজ ভেঙে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। জানা গিয়েছে, দার্জিলিং জেলার দুধিয়া সেতুটি মিরিক এবং সংলগ্ন এলাকাকে শিলিগুড়ি ও কার্শিয়াঙের সঙ্গে যুক্ত করে। এই ব্রিজ ভেঙে পড়ায় মিরিকের সঙ্গে শিলিগুড়ির যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাধিক জায়গায় নেমেছে ধস। ফলে মোটের উপর শিলিগুড়ির সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, নিম্নচাপের জেরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে সিকিমেও। সেখানেও একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। যার ফলে সেখানকার প্রশাসনও পর্যটকদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এদিকে পুজোর ছুটিতে অনেকেই ঘুরতে গিয়েছেন বাঙালির প্রিয় পর্যটন কেন্দ্র দার্জিলিং। যদিও একাধিক জায়গায় ধস নামায় সেখানকার রক গার্ডেন, টাইগার হিল সহ জনপ্রিয় সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই সময় পর্যটকদের হোটেলে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ফুঁসছে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকার মতো নদীগুলি। ফলে সেখানেও পর্যটকদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন।