Darjeeling Landslide: টানা বৃষ্টিতে ফের বিপর্যয় দার্জিলিংয়ে। দার্জিলিংয়ের টাকভর লাগোয়া পাতাবংয়ে বড় এলাকা জুড়ে ধস নামে। একটি বাড়ি ধসে তলিয়ে গিয়েছে বলে খবর মিলেছে। বাড়িটি ধসে সেখানে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। ধস সরানোর কাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারা। পৌঁছোয় উদ্ধারকারী দল। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বাবুলাম রাই (৫৯)। তাঁর বাড়ি পাতাবং চা বাগানের দারাগাঁওয়ে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার থেকেই তরাই-ডুয়ার্স সহ গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়েই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত। দফায় দফায় ভিজেছে শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি থেকে পাহাড়। অন্যদিকে, দার্জিলিংয়েরই পুলবাজার থানার পুরদুং এলাকায় ধস নেমে লোধামা যাওয়ার রাস্তার অনেকটাই ধসে গিয়েছে। ফলে লোধামার সঙ্গে ওই পথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ধস নেমেছে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কেও। মানেভঞ্জন যাওয়ার রাস্তাতেও ধস নামে। বিপর্যয় মোকাবিলা দল মাঠে নেমে ধস সরানোর কাজ শুরু করলেও। টানা বৃষ্টি চলতে থাকায় ধস সরানোর কাজে বিঘ্ন ঘটছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার নেতারা। প্রশাসনের তরফেও কাজ শুরু হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শুক্রবার উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। কোচবিহার ও দার্জিলিং জেলায় তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সেখানে ১০০ মিলিমিটার অবধি বৃষ্টি হতে পারে। মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। শনিবার জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হতে পারে।
অন্যদিকে, ধস নেমেছে পশ্চিম সিকিম এলাকাতেও। সিকিমের এদিনের ধসের ঘটনায় এক বছর চারেকের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ধসে পাথর ও মাটি চাপা পড়েই মৃত্যু শিশুর। একইসঙ্গে ধসের জেরে বন্ধ একাধিক রাস্তা। ভূমি ধসের কারণে একজনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ারও খবর মিলেছে।