Advertisement

Tea Tourism Problem: টি-ট্যুরিজম নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছে চা-বলয়ে, পাহাড়ের পর এবার সমতলেও ক্ষোভ

Tea Tourism Problem: মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উত্তরকন্যা অভিযানের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি। চা বাগানের জমিতে বসবাসকারী আদিবাসীদের হস্তান্তরযোগ্য জমির খতিয়ানের দাবিকে সামনে রেখে শিলিগুড়ির বাতাসিতে সংগঠনটি একটি মিছিল বের করে। মিছিল শেষে গড়িবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব-আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তারা। এখানেই উত্তরকন্যা অভিযানের ভাক দেওয়া হয়।

টি-ট্যুরিজম নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছে চা-বলয়ে, পাহাড়ের পর এবার সমতলেও ক্ষোভটি-ট্যুরিজম নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধছে চা-বলয়ে, পাহাড়ের পর এবার সমতলেও ক্ষোভ
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 08 Feb 2025,
  • अपडेटेड 4:41 PM IST

Tea Tourism Problem: টি-ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশের পরিবর্তে চা বাগানের ৩০ শতাংশ জমি ব্যবহার করা যাবে, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বুধবার এমন ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই তার বিরোধিতা করে সরব হয়েছিলেন জিটিএ চিফ তথা বিজিপিএম পার্টির সভাপতি অনিত থাপা। এবার একই দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিল আদিবাসীদের সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম ফর আদিবাসী রাইট।

মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উত্তরকন্যা অভিযানের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে সংগঠনটি। চা বাগানের জমিতে বসবাসকারী আদিবাসীদের হস্তান্তরযোগ্য জমির খতিয়ানের দাবিকে সামনে রেখে শিলিগুড়ির বাতাসিতে সংগঠনটি একটি মিছিল বের করে। মিছিল শেষে গড়িবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব-আধিকারিকের অফিস ঘেরাও করে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় তারা। এখানেই উত্তরকন্যা অভিযানের ভাক দেওয়া হয়।

পর্যটন সহ অন্য বাণিজ্যিক কাজে বাগানের অব্যবহৃত জমি ব্যবহারের ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করায় প্রতিবাদে আন্দোলনের জন্য জোট বাঁধছে পাহাড় থেকে সমতল। সিদ্ধান্ত বদল না করা হলে মাধ্যমিক পরীক্ষার পর উত্তরকন্যা অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আদিবাসীদের সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম ফর আদিবাসী রাইটস-এর নেতারা। ইউনাইটেড ফোরাম ফর আদিবাসী রাইট-এর আহ্বায়ক রাজকুমার কাশ্যপ বলেন, 'টি ট্যুরিজমের নামে চা বাগান তুলে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে তৈরি হচ্ছে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স। এটা তাঁরা হতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

প্রকৃতপক্ষে জবরদখল, জমি মাফিয়াদের বেআইনি কারবার সহ দাদা কারণে গত কয়েক দশকে বেহাত হয়েছে চা বাগানের হাজার হাজার হেক্টর জমি। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির মতো বর্ধিষ্ণু শহর লাগোয়া এলাকায় বাগানের জমি কার্যত লুট হচ্ছে হচ্ছে। সেই জমি উদ্ধারে আজ পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই করেনি রাজ্য। উলটে নেপাল সীমান্তের পানিট্যাঙ্কি এলাকা সহ বিভিন্ন বাগানে লুট হওয়া চা বাগানের জমিতে থাক্তি মালিকানা স্বত্ব পাইয়ে দিতে সক্রিয় হয়েছেন শাসকদলের নেতাদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে পর্যটন সহ অন্য বাণিজ্যিক কাজে বাথানের অব্যবহৃত জমি ব্যবহারের ৩০ শতাংশ করায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে শ্রমিত সংগঠনগুলি। মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন জিটিএ'র ঠিক এগজিকিউটিভ অনীত থাগা। তিনি মুখ্যসচিব মনোজ গন্থের সঙ্গেও কথা বলেছেন। অনীতের বক্তব্য, 'বাইরে থেকে শিল্পপতি এসে পাহাড়ের সৌন্দর্য নষ্ট করে হোটেল, রেস্তোরাঁ করবে এটা করতে দেব না। কোনওভাবেই যাতে দার্জিলিংয়ের চা বাগানের জমি 'ফ্রি হোল্ড' না করা হয় সেটা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, শ্রমিকদের বোনাস, জমির পাট্টা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে এমনিতেই চা শ্রমিক মহলে ক্ষোড রয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যের নখা সিদ্ধান্ত নিয়ে পাহাড়জুড়ে তীর প্রতিবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement