Advertisement

এখনও বিপজ্জনক ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিকিম, কালিম্পংয়ের বিকল্প রুট জানাল প্রশাসন

সোমবার গভীর রাতে ২৯ মাইল এবং গেলখোলার মাঝে বিশাল ধস নামে। ফলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এনএইচআইডিসিএল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতা জারি করে এবং রাতভর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস সরানোর কাজ শুরু হয়।

এখনও বিপজ্জনক ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিকিম, কালিম্পংয়ের বিকল্প রুট জানাল প্রশাসনএখনও বিপজ্জনক ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক, সিকিম, কালিম্পংয়ের বিকল্প রুট জানাল প্রশাসন
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 10 Oct 2025,
  • अपडेटेड 1:44 PM IST

গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে উত্তরবঙ্গের পাহাড়। কয়েক দিনের মধ্যেই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছেন পাহাড়ের মানুষ। ফের ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পর্যটনও। দার্জিলিং, কালিম্পং, রাভাংলা, লাচুং-লাচেনের মতো জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রে আবারও ভিড় বাড়ছে দেশ-বিদেশের ভ্রমণপিপাসুদের। কিন্তু এর মধ্যেই নতুন করে বিপত্তি বাঁধল বাংলা-সিকিম লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে।

এরপর ফের গত সোমবার গভীর রাতে ২৯ মাইল এবং গেলখোলার মাঝে বিশাল ধস নামে। ফলে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এনএইচআইডিসিএল কর্তৃপক্ষ সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতা জারি করে এবং রাতভর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ধস সরানোর কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে ধসকবলিত অংশ আংশিকভাবে পরিষ্কার করে ছোট গাড়ির একমুখী চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে তাতে সমস্যার মিটমাট হয়নি। পাহাড়ি সরু রাস্তায় সকাল থেকেই তৈরি হয়েছে ভয়াবহ যানজট।

প্রশাসনের তরফে বুধবার রাতে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয়দের বিকল্প রুট ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে সিকিম বা কালিম্পংগামী যানবাহনগুলি বিপাকে না পড়ে।

বিকল্প রুটগুলি নিম্নরূপ

শিলিগুড়ি-সিকিম রুট:
১. শিলিগুড়ি-কার্শিয়ং-জোরবাংলো-পেশক-তিস্তাবাজার-চিত্রে-রংপো।
২. শিলিগুড়ি-সেবক-গরুবাথান-লাভা-আলগাড়া-কালিম্পং-চিত্রে-মল্লি-রংপো।

শিলিগুড়িৃ-কালিম্পং রুট:
১. শিলিগুড়ি-কার্শিয়ং-জোরবাংলো-পেশক-তিস্তাবাজার-চিত্রে-কালিম্পং।
২. শিলিগুড়ি-সেবক-গরুবাথান-লাভা-আলগাড়া-কালিম্পং।

এনএইচআইডিসিএল সূত্রে খবর, ২৯ মাইল ও গেলখোলার মধ্যবর্তী অংশে পাথর ও কাদামাটি সরানোর কাজ চলছে পুরোদমে। বৃষ্টির কারণে বারবার বাধা এলেও দ্রুতই রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে সচল করার চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, “রাতদিন কাজ চলছে। আমরা চেষ্টা করছি খুব শীঘ্রই যান চলাচল সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে।”

পর্যটন মরশুমের শুরুতেই এই ধস উত্তরবঙ্গের ট্র্যাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে খানিকটা ধাক্কা দিলেও, পর্যটনমহল আশাবাদী, কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি আগের মতো হবে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement