Advertisement

Malbazar Forged Document Scam: ভুয়ো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বানিয়ে বিক্রি, মালবাজারে গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার

Malbazar Forged Document Scam: জলপাইগুড়ির মালবাজারে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জাল করে বিক্রি করছিল এক সিভিক ভলান্টিয়ার। নিজের সাইবার ক্যাফেতে বসেই তৈরি করত নকল শংসাপত্র। পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই ফাঁস প্রতারণার কাহিনী।

ভুয়ো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বানিয়ে বিক্রি, মালবাজারে গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ারভুয়ো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বানিয়ে বিক্রি, মালবাজারে গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার
Aajtak Bangla
  • মালবাজার,
  • 21 Apr 2025,
  • अपडेटेड 8:24 PM IST

Malbazar Forged Document Scam: জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের কীর্তি ফাঁস হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের জাল সার্টিফিকেট বানিয়ে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খবর মিলতেই তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রবিবার মালবাজার থানার অন্তর্গত এলাকায় ভুয়ো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট বানানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার মনিরুল ইসলামকে। পুলিশের মতে, ২০১৪ সাল থেকে সিভিক পদে থাকা এই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই নানা বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত ছিল।

মনিরুলের নিজের বাড়িতেই রয়েছে একটি সাইবার ক্যাফে। সেখান থেকেই সে ভুয়ো পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বানিয়ে বিক্রি করত ৪০০০-৬০০০ টাকার বিনিময়ে। শংসাপত্রে আইসির নকল স্বাক্ষর ও স্ট্যাম্প ব্যবহার করত সে। সম্প্রতি ওদলাবাড়ির বাগরাকোট এলাকার কয়েকজন যুবক মনিরুলের কাছ থেকে এই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে ডিআইবি অফিসে সংশোধনের জন্য নিয়ে গেলে সন্দেহ হয় কর্তৃপক্ষের।

শংসাপত্র যাচাই করতেই ধরা পড়ে সবক’টি নকল। কোনওটিতেই QR কোড ছিল না। যা আসলে থাকে। এমন ক্লিয়ারেন্স কোথা থেকে মিলল খোঁজ করতেই যুবকরা মনিরুলের নাম বলে। ডিজিটাল স্বাক্ষরের অনুপস্থিতি দেখে ঘটনা ফাঁস হয়। এরপরই মনিরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনিরুল এখন পর্যন্ত অন্তত ২২টি ভুয়ো সার্টিফিকেট বিক্রি করেছে, তবে সংখ্যাটি ১৫০ ছাড়াতে পারে বলেই আশঙ্কা। এমনকি ভুয়ো পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন চক্রেও তার নাম জড়িয়েছে। ধৃত মনিরুল মাল থানার কুমলাই অঞ্চলের বাসিন্দা। স্ত্রী ও সন্তান-সহ তার একটি চা বাগানও রয়েছে।

মালবাজার থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে এবং তদন্ত চলছে যে, মনিরুল একাই কাজ করত, নাকি একটি পুরো চক্র রয়েছে এর পেছনে। জানা গিয়েছে, আসল ক্লিয়ারেন্স পেতে ২-৩ দিন সময় লাগে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একদিনেই তা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে শংসাপত্র প্রার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করত যার কাছ থেকে যেমন পাওয়া যায়।

 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement