Darjeeling Hills University Recruitment: দীর্ঘদিনের টালবাহানার পর অবশেষে কর্মী নিয়োগ শুরু করল দার্জিলিং হিলস বিশ্ববিদ্যালয়ে। আপাতত চুক্তির ভিত্তিতে দু’জনকে নিয়োগ করা হবে। তাঁরা শিক্ষাকর্মী হিসেবে অফিসিয়াল কাজকর্ম দেখাশুনো করবেন। তাঁদের দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে নিয়োগ করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে আরও কর্মী ও শিক্ষক নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সুজাতারানি রাই।
১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে নিয়োগের ব্যাপারে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আবেদন জমাও পড়েছে। এই প্রথম কোনও কর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী শিক্ষক, কর্মী, আধিকারিক ও অন্য়ান্য নিয়োগেরও দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়া, অভিভাবকদের একাংশ। পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক কোর্স ও গবেষণাগার ফেসিলিটির দাবিও উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি অশিক্ষক পদে (অ্যাসিস্ট্যান্ট-এ এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট-বি) অস্থায়ী ভাবে লোক নিয়োগ করার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে দৈনিক মজুরি হিসাবে তাঁরা বেতন পাবেন। প্রার্থীদের ইংরেজি, নেপালি এবং বাংলা জানতে হবে। দফতরের কাজের বিষয়টিও জানানো হয়েছে।
সার্চ কমিটির মাধ্যমে এবং সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালগুলিতে উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যে এখন পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে, তার মধ্যে দার্জিলিং হিল্স বিশ্ববিদ্যালয়ও রয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি স্থায়ী উপাচার্য হিসেবে তেজিমালা গুরুং নাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। রেজিস্ট্রার সুজাতারানি রাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উপাচার্য যোগ দেওয়ার পরই দফতরের কাজকর্ম চালাতে লোক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এতদিন উপাচার্য না থাকায় কাজে অসুবিধা হচ্ছিল। এবার বাকি পরিকাঠামো নিয়ে কাজ করা হবে।
২০২০-২০২১ সালে বিশ্ববিদ্যালয় চালুর পরে শুরুতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ সামলাতেন। অস্থায়ী উপাচার্য দিয়েই সব চলছিল। মাঝে কিছুদিন কখনও উপাচার্যহীনও থাকতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী প্রশাসনিক ভবন বা অন্যান্য় পরিকাঠামো এখনও গড়ে ওঠেনি। মংপু আইটিআই কলেজে অস্থায়ী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়। প্রায় কিছুই নেই পরিস্থিতিতে পরিস্থিতিতে গত বছর ভর্তির প্রক্রিয়াই চালানো যায়নি। পড়ুয়ারাও ভর্তি হতে উৎসাহ দেখাননি।