জয়েন্ট বিডিও পরিচয় দিয়ে চাকরির নামে আর্থিক প্রতারণা, বালুরঘাটে শোরগোল

বালুরঘাট বিডিও সম্বল ঝা সংবাদমাধ্যমে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কাউকেই ফোন করা হয়নি। সাইবার প্রতারণা নিয়ে প্রশাসনের তরফে ব্যাপক প্রচার করা হচ্ছে, যাতে কেউ এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে না পড়ে। যে মহিলা প্রতারিত হয়েছে, তাকে থানায় অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। সাইবার ক্রাইম থানার দায়িত্বে থাকা বালুরঘাট সদর ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদের জানিয়েছেন ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

পেশায় এসএসকের শিক্ষিকা অপর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শুক্রবার ওই শিক্ষিকার কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারের ব্যক্তি নিজেকে বালুরঘাট বিডিও অফিসের জয়েন্ট বিডিও বলে পরিচয় দেন। এরপর তাঁর কাছে স্থানীয় এক শিক্ষকের নম্বর চাওয়া হয়। সেটি দেওয়ার পর বিশ্বাস অর্জন করেন। এরপরই শিক্ষিকাকে দেওয়া হয় চাকরির টোপ। ব্যাংকে লোনের টোপও দেওয়া হয়। কোনও পরিচিত লোক থাকলে জানাতে বলা হয় ওই শিক্ষিকাকে। এই প্রস্তাব পেয়ে মেয়ের কথা বলেন তিনি।

ওই শিক্ষিকার মেয়ে ইংরেজিতে এমএ করছেন। ব্যাংকে চাকরির জন্য কম্পিউটার সার্টিফিকেট লাগবে। তারজন্য ৪ হাজার টাকা দিতে হবে। বর্তমান সময়ে মেয়ের চাকরি হবে। বিষয়টি দেখছেন খোদ জয়েন্ট বিডিও। তাই আগে পিছে না ভেবে প্রথম ধাপে ৪ হাজার টাকা দেন শিক্ষিকা। টাকা দেওয়ার পরে ফের তাঁর মেয়েকে ফোন করা হয়। ফোনের ওপার থেকে বলা হয় ওই চাকরির জন্য কলকাতায় একটি ট্রেনিং হবে। সেখানে থাকার জন্য প্রথমে তিন হাজার টাকা চাওয়া হয় এবং পরে এসি ঘরের জন্য আরও এক হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেই কথা শুনে ফের আরও একটি অ্যাকাউন্টে ৪ হাজার টাকা পাঠানো হয়।

আট হাজার টাকা দেওয়ার পরই সন্দেহ হয় ওই শিক্ষিকার। দেরি না করে পরিচিত মহলে এনিয়ে খোঁজখবর নেন। এরপর প্রতারণার বিষয়টি পরিষ্কার হয়। ওই শিক্ষিকা সাইবার প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরই সাইবার থানায় অভিযোগ করেন তিনি।

এর আগে গত জানুয়ারি মাসে বালুরঘাট ব্লকের জয়েন্ট বিডিওর নাম করে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে বালুরঘাটের বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানদের ফোন করা হয়েছিল। তখনও এনিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রধানরা। এবারে ফের জয়েন্ট বিডিওর নাম করেই চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে এমন ভুয়ো ফোনে শোরগোল পড়েছে বালুরঘাটে।