Advertisement

Daarjeeling Traffic Jam Movement: দার্জিলিঙে যানজট সমস্যা মিটবে? ড্রাইভারদের চরম সিদ্ধান্তে ব্যাপক হয়রানির আশঙ্কা

Daarjeeling Traffic Jam Movement: পাহাড়ের রাস্তায় যানজট সমস্যা দিন-দিন বাড়ছে। প্রশাসনকে এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য বারবার বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠনের তরফে দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শীতেও পর্যটক থাকলেও মূল পর্যটন মরশুম শুরু হবে মার্চ থেকে। তার আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পর্যটকরা এবারও হয়রানির শিকার হবেন।

দার্জিলিংয়ের যানজট সমস্য়া সমাধানে চরম সিদ্ধান্ত গাড়ি চালকদের, হয়রানির আশঙ্কাদার্জিলিংয়ের যানজট সমস্য়া সমাধানে চরম সিদ্ধান্ত গাড়ি চালকদের, হয়রানির আশঙ্কা
Aajtak Bangla
  • দার্জিলিং,
  • 10 Jan 2025,
  • अपडेटेड 5:49 PM IST

Daarjeeling Traffic Jam Movement: দার্জিলিং পাহাড়ের যানজট সমস্যা সমাধানে কড়া হতে চাইছে গাড়িচালক ও পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের সদস্যরা। ১০ দিনের মধ্যে প্রশাসন যানজট সমস্যা মেটাতে পদক্ষেপ শুরু না করলে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিবহণ চালকরা। এই হুঁশিয়ারির অংশ হিসেবে পাহাড়ে যদি গাড়ি ধর্মঘটে যান চালকরা, তাহলে পর্যটনে সমস্যা তৈরি হতে পারে।

পাহাড়ের রাস্তায় যানজট সমস্যা দিন-দিন বাড়ছে। প্রশাসনকে এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপের জন্য বারবার বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠনের তরফে দাবি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। শীতেও পর্যটক থাকলেও মূল পর্যটন মরশুম শুরু হবে মার্চ থেকে। তার আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পর্যটকরা এবারও হয়রানির শিকার হবেন। পাহাড়ের পর্যটন নিয়ে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। ফলে যানজট সমস্যার জেরে এখানে আসাই বন্ধ করে দেবেন। এই পরিস্থিতি বদলাতে মরিয়া পরিবহণ ব্যবসায়ীরা। কারণ তাঁদেরই সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। 

উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির সভাপতি পাশাং শেরপা জানিয়েছেন, তাঁদের কোঅর্ডিনেশন কমিটির অধীনে ৪৫টিরও বেশি চালক সংগঠন রয়েছে। সবাই মিলে ২০ তারিখের পরে বৈঠক করে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করা হবে। তবে পর্যটক ও সাধারণ মানুষের সমস্যা যাতে না হয় তা মাথায় রেখেই আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

হিমালয়ান ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, পাহাড়ে যানজট সমস্যা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। পর্যটন মরশুমে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পৌছাতে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা নয়। কিন্তু ৬-৭ ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে। এর ফলে পর্যটক থেকে সাধারণ মানুষ সবাই ভোগান্তির শিকার। পর্যটকরা অসন্তুষ্ট হচ্ছেন। এই সমস্যা মেটাতে এক দশকের বেশি সময় থেকে দার্জিলিংয়ের রাস্তা সম্প্রসারণ, রাস্তার চওড়া বাড়ানো, ঘুম, ডালি সহ দার্জিলিং শহরের বিভিন্ন জায়গায় পর্যাপ্ত পার্কিং জোন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য বা জিটিএ-এর তরফে তা নিয়ে কোনও সদর্থক পদক্ষেপ মেলেনি। তাই তাঁরা শেষমেষ আন্দোলনের পথে হাঁটতে চলেছেন।

Advertisement

দার্জিলিং পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, যানজট সমস্যা মেটানো নিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রাস্তায় যেখানে-সেখানে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখলে জরিমানা করা হচ্ছে। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) জনসংযোগ আধিকারিক শক্তিপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ঘুম থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত রাস্তায় কিছুটা অংশ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। যত্রতত্র গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে পুলিশ জরিমানা করছে। দ্রুত সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী তিনি।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement