বেশ কয়েক মাস ধরেই জল্পনা চলছে। বিশেষ করে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে টিকিট না দেওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ দেখানো শুরু করেছিলেন। উত্তরবঙ্গে বিজেপি-র অন্যতম নেতা জন বার্লা আজই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন? ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে, কারণ, বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারে সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত থাকছেন বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা। যার নির্যাস, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে চা বলয়ে বড় ধাক্কা বিজেপি-র কাছে।
জন বার্লা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ পেয়ে আপ্লুত
বস্তুত, প্রতিটি ভোটেই উত্তরবঙ্গ চিন্তায় রাখে তৃণমূল কংগ্রেসকে। দক্ষিণবঙ্গে ঘাঁটি শক্ত হলেও, উত্তরের ভোটব্যাঙ্ক এখনও বিজেপি ঘেঁষাই। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের ভোটব্যাঙ্ককে তাই আলাদা করে জোর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারে চা বলয়ের দাপুটে নেতা হিসেবেই পরিচিত জন বার্লা। সেই জন বার্লা মুখ্যমন্ত্রীর সভায় আমন্ত্রণ পেয়ে আপ্লুত।
বার্লার ফুল বদল মমতার সভাতেই?
জন বার্লার কথায়, 'ডুয়ার্স এবং চা বাগানের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। চা বাগানে এখন বিজেপি-র নেতৃত্ব নেই, ডুয়ার্সের উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উপরে ভরসা রাখছি।' সুতরাং তাঁর কথায় স্পষ্ট, ফুল বদল করছেন বৃহস্পতিবারই।
লোকসভা নির্বাচন থেকেই ক্ষুব্ধ বার্লা
জন বার্লা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন অতীতে। ২০২৪ সালে বিজেপি তাঁকে টিকিট দেয়নি। টিকিট পেয়েছিলেন মনোজ টিগ্গা। জিতেওছেন মনোজ। বিধায়ক থেকে তিনি এখন সাংসদ। মনোজকে টিকিট দেওয়ার পর থেকেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন জন বার্লা। এমনকী ভোটের প্রচারে মনোজকে সাহায্য করতেও তিনি চাননি। যদিও পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় জন বার্লাকে দেখা গিয়েছে। তারপর গত বছর ৫ নভেম্বর জলপাইগুড়ির বানারহাটে বার্লার বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতা দীপেন প্রামাণিক। দু'জনের এই বৈঠকের পর কৌতুহল তৈরি হয় জেলা রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ নিয়ে বা বার্লা তৃণমূল শিবিরে যোগ দিচ্ছেন কিনা তা নিয়ে।