ভারী বৃষ্টিতে দুর্যোগ উত্তরবঙ্গে। রাস্তায় রাস্তায় নেমেছে ধস। ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। পড়ে গিয়েছে বাড়ি। যার ফলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৩ জনের। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ।
শুধু তাই নয়, রাস্তা বন্ধ হওয়ায় কার্যত শিলিগুড়ির থেকে বিচ্ছিন্ন পাহাড়। আর এমন পরিস্থিতিতে অনেক পর্যটক আটকে রয়েছেন পাহাড়ে। তাঁদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফে খবর।
কোথায় কত পর্যটক আটকে?
৭০ পর্যটক আটকে রয়েছেন তাবাকোশিতে। এছাডা ৪০ জন আটকে রয়েছেন গুরদুঙে। আর এই অঞ্চলের আশপাশে আটকা পড়েছেন ২০ জন।
ও দিকে ১৩০ জনের মতো আটকে রয়েছেন জোরেবাংলো-সুখিয়াপোখরি ব্লকে।
আর সবথেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে মিরিক। সেখানে আটকে রয়েছেন প্রায় ৩০০ জনের মতো।
এছাড়া দার্জিলিং, ডুয়ার্স ও সিকিম মিলিয়ে অনেক পর্যটক আটকে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রশাসনের তরফে খোলসা করা হয়নি।
সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ
সিকিমের সঙ্গে বাংলার যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা হল NH10। আর এই রাস্তারই একের পর এক জায়গায় নেমেছে ধস। যার ফলে এখন কার্যত বন্ধ সেই রাস্তা। সেই কারণে বাংলার সঙ্গে সিকিমের যোগও কেটে গিয়েছে। যার ফলে সেখানেও অনেক মানুষ আটকে বলে জানা গিয়েছে।
খুলে গেল ওল্ড এনএইচ৫৫
ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঘুম জোরেবাংলো থেকে ঘুমের রাস্তা। তবে সেই রাস্তা এখন খুলে গিয়েছে। এমনকী খুলে গিয়েছে NH55। যার ফলে অনেক পর্যটক নীচে নেমে আসতে পারছেন।
ইতিমধ্যেই ৫০০ যাত্রী নিয়ে পাড়ি দিয়েছে বাস
পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে সরকারি তৎপরতা তুঙ্গে। যার ফলে NBSTC-এর ১০টি বাস ৫০০ জন যাত্রী নিয়ে ফিরছে। ইতিমধ্যেই বাস ছেড়ে দিয়েছে তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে।
ধসে মৃত অনেক
দার্জিলিঙে ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত এক দশকের মধ্যে দার্জিলিঙে এত ভয়াবহ ধস নামেনি। এর ফলে ভেঙে পড়েছে একের পর এক বাড়ি। বহু মানুষ এখন ঘর ছাড়া।
নবান্নে খোলা হল কন্ট্রোল রুম
পাহাড়ের এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে সরকার। তাদের পক্ষ থেকে নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। যে কোনও প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা যাবে। যোগাযোগের ফোন নম্বর ০০৯১-২২১৪-৩৫২৬/০০৯১- ২২৫৩-৫১৮৫, টোল ফ্রি নম্বর -৯১-৮৬৯৭৯-৮১০৭০।