উত্তরবঙ্গে দুর্যোগের ঘনঘটা। সিকিমে প্রবল বর্ষণের কারণে জলস্তর বাড়ল তিস্তা নদীর। যার জেরে আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দা। গত বছর তিস্তার জলে ভেসে গিয়েছিল বেশ কিছু এলাকা। চলতি বর্ষার মরশুমে যেভাবে তিস্তা ফুঁসছে, তাতে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সিকিমে তুমুল বৃষ্টির কারণে ভেসে গিয়েছে লাচুং রোড। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে একটি বাড়িও। সিকিমে বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে তিস্তা নদীতে। তিস্তার জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। গত বছর ডিসেম্বরে তিস্তার জলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। সেই ক্ষত সারতে না সারতেই ফের বিপর্যয়ের মুখে এলাকার বাসিন্দারা।
অন্য দিকে, আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত সিকিমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম ভবন। ফলে সে রাজ্যে আরও বৃষ্টি বাড়বে। যার প্রভাবে তিস্তার জলস্তর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তিস্তাবাজার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কালিম্পং-দার্জিলিং রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে বলে খবর। সিকিমে সেতু ভেঙে পড়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বাংলার উত্তরে বর্ষার আগমন ঘটেছে। গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। আগামী বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আজ আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। মালদা, দুই দিনাজপুরেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।
বাঙালিদের বরাবরের প্রিয় গন্তব্য হল দার্জিলিং। এই সময় অনেকেই পাহাড়ে ঘুরতে গিয়েছেন। তবে দুর্যোগের জেরে চিন্তা বাড়িয়েছে।
অন্য দিকে, দক্ষিণবঙ্গে এখনও ভ্যাপসা গরম অব্যাহত। যদিও দ্রুত আবহাওয়ার বদল ঘটবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায় হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবারও এই জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোনও কোনও জেলায় ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।