Advertisement

Jalpaiguri Arrest: জলপাইগুড়িতে খুন টোটোচালক, গ্রেফতার ​​​​​​যুবক ও তাঁর বান্ধবী

Jalpaiguri Arrest: গত ২৭ অগস্ট ভোররাতে টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড়ের মাহুতপাড়ার বাসিন্দা সিতুল রায়। কিন্তু তারপর আর কোনও খোঁজ মেলেনি তার। পরিবার কোতয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। প্রায় এক মাস পর, ২৯ সেপ্টেম্বর খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোরানীপাড়ার ক্যানেলের ধারে একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয় সিতুলের দেহ।

জলপাইগুড়িতে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ​​​​​​​প্রেমিক-প্রেমিকাজলপাইগুড়িতে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ​​​​​​​প্রেমিক-প্রেমিকা
Aajtak Bangla
  • জলপাইগুড়ি,
  • 19 Sep 2025,
  • अपडेटेड 7:34 PM IST

Jalpaiguri Arrest: এক টোটোচালক খুনে গ্রেফতার করা হল এক যুবক ও তার প্রেমিকাকে। কোচবিহারের জ্যোতির্ময় রায় ও জলপাইগুড়ির রত্না রায়কে বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির জেলা আদালতে তোলা হলে পুলিশ তাদের সাত দিনের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।

গত ২৭ অগস্ট ভোররাতে টোটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড়ের মাহুতপাড়ার বাসিন্দা সিতুল রায়। কিন্তু তারপর আর কোনও খোঁজ মেলেনি তার। পরিবার কোতয়ালি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। প্রায় এক মাস পর, ২৯ সেপ্টেম্বর খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কোরানীপাড়ার ক্যানেলের ধারে একটি ডোবা থেকে উদ্ধার হয় সিতুলের দেহ।

আরও পড়ুন

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌভনিক মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘টোটোচালক সিতুল রায়ের সঙ্গে জ্যোতির্ময়ের আগে কোনও সম্পর্ক ছিল না। নিছক টাকাপয়সা নিয়ে ঝগড়ার জেরেই খুন। রত্না রায় সব জেনেও তাকে সাহায্য করায় তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

পুলিশ জানায়, জ্যোতির্ময় রায়ের সঙ্গে জলপাইগুড়ির রত্না রায়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২৬ অগস্ট রাতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়িতে আসে সে। কিন্তু রত্নার সঙ্গে ঝগড়া হলে রত্না তাকে তাড়িয়ে দেয়। রাতে আশ্রয়ের জায়গা না পেয়ে গোশালা মোড়ের একটি দোকানের সামনে শুয়ে থাকে জ্যোতির্ময়। ভোরে, পথে দাঁড়ানো সিতুল রায়ের টোটো ভাড়া করে টাকা ধার নিতে সেবাগ্রাম যায় সে। কিন্তু টাকা না পেয়ে টোটোতেই উঠে পড়ে কোনপাকড়ির দিকে।

পথে ভাড়া নিয়ে টোটোচালক সিতুলের সঙ্গে বচসা বাধে তার। অভিযোগ, সেই সময় হাতাহাতির মধ্যে মাথায় আঘাত করে জ্যোতির্ময়। অজ্ঞান সিতুলকে ডোবার ধারে ফেলে রেখে, তার টোটো নিয়ে পালিয়ে যায় সে কোচবিহারে।

মোবাইল ফোনে ফাঁস রহস্য
পরে কোচবিহারের চিলকিহাট এলাকায় একটি টোটো উদ্ধার করে পুলিশ। সেই টোটো থেকেই খোঁজ মেলে মোবাইলের। সেই মোবাইল দিয়েই জলপাইগুড়িতে ফিরে আসে জ্যোতির্ময় ও রত্না। দুজনে হাওড়ার আন্দুলে গিয়ে ‘স্বামী-স্ত্রী’ পরিচয়ে থাকতে শুরু করে। সেখানেই মোবাইল বিক্রিও করেন রত্না। পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় নজরদারি চালিয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে। হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের সহযোগিতায় তাদের গ্রেফতার করে কোতয়ালি থানার পুলিশ। মৃত সিতুল রায়ের দাদা নিতুল রায় বলেন, ‘‘আমরা পুলিশের তদন্তে খুশি। তবে চাই, দোষীদের কড়া শাস্তি হোক।’

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement