
স্ত্রী মহিমা বার্লার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। নিঃসঙ্গতা দীর্ঘায়িত হওয়ায় অবশেষে ফের সাত পাঁকে বাধা পড়লেন তিনি। দীর্ঘ সম্পর্ক বা রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত, এমনই জানালেন তিনি ও তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা।
গত ২৩ এপ্রিল প্রয়াত হন মহিমা বার্লা। তার ঠিক সাত মাস পর, ১১ নভেম্বর আইনি বিয়ে সারেন জন বার্লা। সামাজিক বিয়ে হবে শীঘ্রই। জানা গেছে, নতুন জীবনসঙ্গী মঞ্জু তিরকেকে বেছে নিয়েছেন তিনি। মঞ্জুদেবী দলগাঁও চাবাগানের দলমণি ডিভিশনের বাসিন্দা এবং ডিমডিমার সেন্ট মারিয়া গরেতি গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষিকা।
নতুন জীবন শুরু করা প্রসঙ্গে জন বার্লা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আমি ও আমার পরিবার নিঃসঙ্গতায় ভুগছিলাম। বাড়ির সবকিছু সামলাতে সমস্যা হচ্ছিল। দুই পরিবারের সম্মতিতেই আমরা বিয়ে করেছি। ১১ নভেম্বর রেজিস্ট্রি হয়েছে, খুব শিগগির সামাজিক অনুষ্ঠানও করব।'
জন বার্লার দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুভেচ্ছার সুর। আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'শুনেছি উনি বিয়ে করেছেন। নতুন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা। এটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।'
উল্লেখ্য, ডুয়ার্স রাজনীতিতে জন বার্লা পরিচিত মুখ। ২০১৯ সালে বিজেপির টিকিটে আলিপুরদুয়ার থেকে জিতে সাংসদ হন। তিনি চা বাগানের শ্রমিক আন্দোলন করেই উঠে এসেছেন। পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তবে ২০২৪ সালে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী না করায় দূরত্ব তৈরি হয় দলের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত তিনি যোগ দেন তৃণমূল কংগ্রেসে।