দীপাবলির রাতে গোলমাল। তার জেরে স্ত্রীকে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও ঘটনার ভয়াবহতায় চমকে উঠেছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূর নাম তামান্না খাতুন (২৪)। অভিযুক্ত স্বামী ফিরোজ আলম পলাতক। মৃত গৃহবধূর পরিবার খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে রায়গঞ্জ মহিলা থানায়।
ঘটনাটি ঘটেছে করণদিঘি থানার আলতাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাঘবপুর সংলগ্ন কালিতলা গ্ৰামে। রবিবার রাতে গ্রামবাসীরা ওই মহিলাকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর মহিলার মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছয় বছর আগে তামান্না খাতুনের সঙ্গে ফিরোজ আলমের বিয়ে হয়। তাঁদের ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান ও ৮ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। গতকাল দুপুরে স্ত্রীর জমানো টাকা নিয়ে কালীপুজো উপলক্ষ্যে জুয়ার আসরে খেলতে চলে যায় ফিরোজ। সমস্ত টাকা হেরে বাড়িতে ফিরে এসে স্ত্রীর সঙ্গে শুরু হয় বচসা। এরপর বারান্দায় থাকা একটি লোহার রড দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর ৮ মাসের পুত্র সন্তানকে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এই সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। তাঁরা বাড়িতে গিয়ে দেখে বারান্দায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছে বধূ। খবর যায় বধূর বাবার বাড়িতে। তড়িঘড়ি বধূর পরিবারের লোকেরা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে এসে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত বধূর দাদা শহিদ আলি সংবাদমাধ্যমকে জানান, তামান্না মানুষের জমিতে কাজ করে টাকা জমিয়েছিল। সেই টাকা নিয়ে বোন-জামাই জুয়ার আসরে গিয়ে সর্বস্ব হেরে মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরে। তা নিয়েই বচসা বাধে। তারপরই এই পরিস্থিতি হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।