Advertisement

Kharibari Hospital Fake Birth Certificate: শিলিগুড়িতে হাসপাতালে জাল জন্ম শংসাপত্র চক্রের হদিশ, CBI তদন্তের দাবি বিজেপির

খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে টাকা দিলেই সরকারি পোর্টাল থেকে মিলছিল জাল জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র। সম্প্রতি গোয়েন্দাদের নজরে আসে এই বড়সড় জালিয়াতি। তিন মাসে প্রায় ৮৫০টি ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে এই হাসপাতাল থেকে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্বীকার করা হয়।

 খড়িবাড়ি হাসপাতালে জাল জন্ম শংসাপত্র কাণ্ডে চাঞ্চল্য, সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির খড়িবাড়ি হাসপাতালে জাল জন্ম শংসাপত্র কাণ্ডে চাঞ্চল্য, সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 19 Oct 2025,
  • अपडेटेड 2:18 PM IST

শিলিগুড়ি মহকুমার খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বেআইনিভাবে পুরনো তারিখে জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। অভিযোগের তির সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে তুলেছে বিজেপি। ঘটনায় হাসপাতালের এক ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে খড়িবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। খড়িবাড়ির বিএমওএইচ শফিউল মল্লিক স্বীকার করেছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর অভিযুক্ত কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় রাজনীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে।

বিজেপি বিধায়ক ড. শঙ্কর ঘোষ বলেন, "শাসকদলের মদতেই ভোটার তালিকার আগে বেআইনিভাবে শংসাপত্র জারি হচ্ছে।" তিনি এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। এদিন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল খড়িবাড়ি হাসপাতালে গিয়ে বিএমওএইচ-এর কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়।

অপরদিকে, তৃণমূল নেতৃত্ব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কোর কমিটির সদস্য ও সভাধিপতি অরুণ ঘোষ বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে, কেউ দোষী হলে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে। দলের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।” শিলিগুড়ির মেয়র ও তৃণমূল নেতা গৌতম দেব জানান, "পুলিশ তদন্ত করছে, কেউ ছাড় পাবে না।"

আরও পড়ুন

খড়িবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে টাকা দিলেই সরকারি পোর্টাল থেকে মিলছিল জাল জন্ম ও মৃত্যুর শংসাপত্র। সম্প্রতি গোয়েন্দাদের নজরে আসে এই বড়সড় জালিয়াতি। তিন মাসে প্রায় ৮৫০টি ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করা হয়েছে এই হাসপাতাল থেকে বলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে স্বীকার করা হয়। অভিযোগ, এক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, হাসপাতালের এক চিকিৎসক এবং কয়েকজন দালাল মিলে এই চক্র চালাচ্ছিল। তিন মাসে প্রায় কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অনুমান তদন্তকারীদের।দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ তুলসী প্রামাণিক জানান, “সমস্ত নথি স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। শেষ হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

২০২২ সালের মে মাস থেকে ‘জন্ম-মৃত্যু তথ্য কথা’ নামের সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে সার্টিফিকেট ইস্যুর নিয়ম চালু হয়। এই পোর্টালে নির্দিষ্ট অপারেটর তথ্য আপলোড করেন, এবং হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডিজিটাল সই করেন। খড়িবাড়ি হাসপাতালে সেই রেজিস্ট্রার ছিলেন ডাঃ প্রফুলিত মিঞ্জ। তদন্তে দেখা গেছে, শুধুমাত্র খড়িবাড়ি বা বাতাসি এলাকার শংসাপত্র নয়, সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য জেলার জন্যও এই হাসপাতাল থেকে ব্যাকডেটে সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে।

এনফোর্সমেন্ট দপ্তর ও শিলিগুড়ি গোয়েন্দা দফতর দুটি আলাদা মামলার সূত্রে এই জালিয়াতির হদিস পায়। গুলমা চা বাগানের এক মৃত ব্যক্তির শংসাপত্রে মৃত্যুর দিন এগিয়ে আনা হয়েছিল, সম্ভবত বিমার টাকা তুলতেই। আবার পাসপোর্ট যাচাইয়ের সময় এক ব্যক্তির জন্ম শংসাপত্র ভুয়ো বলে ধরা পড়ে। দু’টি নথিই ইস্যু হয়েছিল খড়িবাড়ি হাসপাতাল থেকে।এরপরই সক্রিয় হয় ব্লক ও জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement