Advertisement

নিজের সদ্যোজাত শিশুকে ‘খুনে’ অভিযুক্ত মা, মাটিতে পুঁতে দিতে গিয়ে ধরা

স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেতেই হৈচৈ শুরু হয়। রেজিনা তখন শিশুটিকে বারান্দায় কাপড়ের তলে ফেলে রেখে উধাও হয়ে যান। দ্রুত খবর দেওয়া হয় ক্রান্তি ফাঁড়িকে। পুলিশ এসে মৃত শিশুটির দেহ উদ্ধার করে এবং রেজিনার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তবে রাত পর্যন্ত তাঁর হদিশ মেলেনি। স্বামী জিয়ারুলও বাড়ি না ফেরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Aajtak Bangla
  • 05 Dec 2025,
  • अपडेटेड 2:19 AM IST

ডুয়ার্সের ক্রান্তি এলাকার মাঝগ্রাম খালধুরা চার সন্তানের মা রেজিনা বেগম প্রসবের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সদ্যোজাত শিশুকে মাটিচাপা দিতে চেষ্টা করার অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল। ঘটনাটি দেখেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। প্রতিবেশীরা চেঁচামেচি শুরু করলে রেজিনা শিশুটিকে বারান্দায় ফেলে রেখে চম্পট দেন। ঘটনা তদন্তে নেমেছে ক্রান্তি ফাঁড়ির পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, খালধুরা এলাকার বাসিন্দা রেজিনা বেগমের আগে থেকেই একটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে রয়েছে। স্বামী জিয়ারুল হক পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো এদিনও সকালে ব্যবসার কাজে বেরিয়ে যান তিনি। সেই সময়েই বাড়িতে একা ছিলেন রেজিনা। সকাল আটটা নাগাদ তিনি পুত্রসন্তান প্রসব করেন। এরপরই একটি কোদাল হাতে নিয়ে বাড়ির পাশের মাঠে গর্ত খুঁড়তে দেখা যায় তাঁকে। অভিযোগ, সদ্যোজাত শিশুটিকে সেই গর্তে পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি।

স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেতেই হৈচৈ শুরু হয়। রেজিনা তখন শিশুটিকে বারান্দায় কাপড়ের তলে ফেলে রেখে উধাও হয়ে যান। দ্রুত খবর দেওয়া হয় ক্রান্তি ফাঁড়িকে। পুলিশ এসে মৃত শিশুটির দেহ উদ্ধার করে এবং রেজিনার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তবে রাত পর্যন্ত তাঁর হদিশ মেলেনি। স্বামী জিয়ারুলও বাড়ি না ফেরায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন

দুপুরে বাড়িতে ফিরে পুরো বিষয়টি দেখে হতবাক হয় রেজিনার ন’বম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে মামণি। সে জানায়, সকালে বাবার সঙ্গে স্কুলে গিয়েছিল, বাড়িতে কী ঘটেছে সে কিছুই জানত না।

স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মী গিরিবালা রায় জানান, কয়েক মাস আগে তিনি খবর পান রেজিনা গর্ভবতী। পরীক্ষা করতে গেলে রেজিনা রাজি হননি। গ্রামবাসীদের কাছ থেকেই তিনি গোটা ঘটনার বিশদ শোনেন।

এলাকাবাসীদের দাবি, দেড় বছর আগে এই বাড়ি থেকেই আরেকটি সদ্যোজাতের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তখন রেজিনা জানান তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেছিলেন। কিন্তু নতুন ঘটনার পর পুরনো মৃত্যুকে ঘিরেও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মিন্টু রায় বলেন, “এমন ভয়াবহ ঘটনা কোনোমতেই মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ প্রশাসনকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।” ক্রান্তি ফাঁড়ির ওসি কেটি লেপচা জানান, রেজিনা বেগম পলাতক এবং তাঁর সন্ধানে তল্লাশি চলছে।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement