Lok Sabha Election 2024: লোকসভা নির্বাচন কি এগিয়ে আসছে? একাধিক নেতা-মন্ত্রীর কথায় তেমনই ইঙ্গিত। এবার লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আসার দাবি করলেন রায়গঞ্জের বিধায়ক তথা বিধানসভার PAC চেয়ারম্যান কৃষ্ণ কল্যাণী (Krishna Kalyani)। তাঁর বক্তব্য, লোকসভা ভোট এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
রায়গঞ্জে একটি দলীয় কর্মসূচিতে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, 'যে ভাবে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে, তাতে মনে হচ্ছে আগামী মাসেই (জানুয়ারি) লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে। মার্চের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই এখন থেকে সকল কর্মীদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। মনে রাখতে হবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপি-কে উৎখাত একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই করতে পারবে। অন্য কারও ক্ষমতা নেই। আর রাজ্যের নির্বাচনের ফল থেকে পরিষ্কার বোঝা গিয়েছে, কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে গিয়েছে, এদের দ্বারা কিছুই হবে না। এবার পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি মাত্র পাঁচটি আসন পাবে।'
বস্তুত, কৃষ্ণ কল্যাণী বিজেপি-র টিকিটে জিতে বিধায়ক হলেও পরবর্তীকালে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান বিরোধী দলের বিধায়ককেই করার নিয়ম। কৃষ্ণ কল্যাণী তৃণমূলে যোগ দিলেও প্রধান বিরোধীদল বিজেপি-র টিকিটে জয়ী হয়েছেন, তাই তাঁকেই PAC চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে কৃষ্ণ কল্যাণী বলেছিলেন, 'বিজেপির বিধায়ক হয়েও যখন কাজ করছিলাম, তখন হেস্টিংসে দিলীপ ঘোষ আমাকে উদ্দেশ্য করে একটা কথা বলেছিলেন। জেলার স্পিডের চেয়ে বেশি স্পিডে কাজ করা যাবে না। আর শুধু কাজ করলে আর মানুষকে পরিষেবা দিলে ভোটে জেতা যায় না। ভোটে জিততে হলে আন্দোলন করতে হবে। আমি সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম আমার চিন্তাধারার সঙ্গে এদের চিন্তাধারার মিল হবে না। তারপরেই আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হলাম। আর তিনি একবারেই আমাকে আপন করে নিলেন। আর তাই আমারও কর্তব্য ওনার হাত শক্ত করব।'
লোকসভা ভোট এগিয়ে আসার কথা শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গলাতেও। তিনি বলেছিলেন, 'ফেব্রুয়ারির শেষে লোকসভার ভোট হয়ে যাবে।' কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রীর কথায়, 'গত বারের তুলনায় এক মাস এগিয়ে এনে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট ঘোষণা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আমাদের হাতে আর মাত্র ৬০ দিনের মতো সময় রয়েছে।'
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হয়েছিল ১০ মার্চ। সে বছর ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল ১১ এপ্রিল থেকে। সাত দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছিল ১৯ মে। ২৩ মে ভোটগণনা হয়েছিল।