Malda Bulbulchandi Kali Puja: দীপাবলির দিন রাজ্যের আর পাঁচটা কালীপুজোর সঙ্গে এক সঙ্গেই পুজো হয়েছিল। কিন্তু বিসর্জন সবার সঙ্গে হয়নি। ২১ দিন মন্দিরেই ছিল প্রতিমা। অবশেষে ২২ দিনের দিন ৪ ডিসেম্বর প্রতিমা নিরঞ্জন ও বিসর্জন হল এই পুজোর। যাকে ঘিরে এতদিন পরও ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছিল। মালদার হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডি বাজার সর্বজনীনের পুজোর অভিনবত্ব এখানেই। শুধু তাই নয় প্রতিমার আকারও পর্বতপ্রমাণ। যাঁর জন্য গোটা ২১ দিনই ভিড় জমেছিল মায়ের আরাধানায়। সেই সঙ্গে ছিল মেলার মজা। অবশেষে চলতি বছরের মতো বিদায় মায়ের।
এদিনও বিসর্জন দেখতে বহু দূর দূরান্তের মানুষ ভিড় করেন। মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডী বাজার সার্বজনীন কালী প্রতিমার বিসর্জনও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিসর্জন দেখতে ও দড়ি টানতে বহু ভক্তের সমাগম হয়। এবার এখানকার কালী প্রতিমা করা হয় ৪২ ফুট উচ্চতার। মন্দিরেই তৈরি করা হয় প্রতিমা। তবে এই বিশাল প্রতিমা প্রতি বছর বিসর্জন দেওয়া হয়। তাই মজবুত করে তৈরি করা হয় প্রতিমার কাঠামো।
কোনও চাকা ছাড়া শুধুমাত্র কাঠামোর নীচে বাঁশ ফেলে আদিম পদ্ধতিতে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় ভাসানোর জন্য। রথের রশির মতোই দড়ি টানেন ভক্তরা। দড়ির টানে এগিয়ে চলে মা কালীর বিশাল মূর্তি। কয়েকশো ভক্ত দড়ি ধরে মা কালীর মূর্তি বিসর্জনের জন্য নিয়ে যান। তবে মন্দির থেকে প্রায় প্রায় আধ কিলোমিটার দূরত্বের একটি জলাশয়ে এই ভাবেই ৪২ ফুটের কালীমূর্তি নিয়ে গিয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতি বছর। এবারও তাই হয়েছে।
পুজো কমিটির সভাপতি প্রশান্ত কুমার রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখানকার পুজো, মেলা, প্রতিমা সবটাই একটু অন্যরকম। পুজোর পর এবার ২১ দিন মন্দিরে ছিল প্রতিমা। পুজা উপলক্ষে এতদিন মেলা চলছিল। পুজোর ২২ দিনের বিসর্জন দেওয়া হল।