Advertisement

Double Dead body Found: মালবাজারে একই ঘরে দুই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে

Double Dead body Found: পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনেই ওই বাড়িতে মাত্র দু’দিন আগে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। ঘরের ভিতরে দু’জনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সঞ্জীব ও অনুপ পরস্পরের পরিচিত ছিলেন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারেন। তবে কেন তাঁরা মালবাজারে গিয়ে একসঙ্গে ঘর ভাড়া নিলেন এবং কেন এই অস্বাভাবিক মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

হাসপাতালের ট্যাঙ্কে পড়ে মৃতদেহ, ১০ দিন ধরে সেই ট্যাঙ্কেরই জল খেল ডাক্তার থেকে রোগীহাসপাতালের ট্যাঙ্কে পড়ে মৃতদেহ, ১০ দিন ধরে সেই ট্যাঙ্কেরই জল খেল ডাক্তার থেকে রোগী
Aajtak Bangla
  • মালবাজার,
  • 20 Dec 2025,
  • अपडेटेड 5:33 PM IST

Double Dead body Found: চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে উদ্ধার হল এক কলেজ পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। শুক্রবার গভীর রাতে মালবাজার শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ি থেকে পুলিশ উদ্ধার করে ওই যুবকের দেহ। একই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও এক তরুণের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত কলেজ পড়ুয়ার নাম সঞ্জীব বর্মন (২০)। তিনি ফালাকাটা থানার অন্তর্গত ৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা এবং জটেশ্বর লীলাবতী কলেজের পঞ্চম সেমেস্টারের ছাত্র ছিলেন। অপর মৃত যুবকের নাম অনুপ রায় (২১), বাড়ি মেটেলি থানার ধুপঝোড়া এলাকায়। দু’জনেরই মৃত্যু অস্বাভাবিক হওয়ায় বিষয়টি ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

জানা গিয়েছে, গত ১৫ ডিসেম্বর কলেজে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরোন সঞ্জীব। এরপর থেকেই তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের পক্ষ থেকে সেদিনই ফালাকাটা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, সঞ্জীবের শেষ মোবাইল লোকেশন ধরা পড়ে মালবাজার এলাকায়।

আরও পড়ুন

এরপর পরিবারের সদস্যরা মালবাজারে এসে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেন। ফালাকাটা থানার পুলিশ বিষয়টি মালবাজার থানাকেও জানায়। তবে ততদিনে কোনও সন্ধান মেলেনি। শুক্রবার রাতে মালবাজারের বস্তি এলাকার একটি ভাড়াবাড়ি থেকে পুলিশ দুই যুবকের দেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনেই ওই বাড়িতে মাত্র দু’দিন আগে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। ঘরের ভিতরে দু’জনের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, সঞ্জীব ও অনুপ পরস্পরের পরিচিত ছিলেন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হতে পারেন। তবে কেন তাঁরা মালবাজারে গিয়ে একসঙ্গে ঘর ভাড়া নিলেন এবং কেন এই অস্বাভাবিক মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মৃত সঞ্জীবের বাবা শিবু বর্মন পেশায় ক্ষুদ্র মাছ বিক্রেতা এবং মা গীতা বর্মন গৃহবধূ। একমাত্র ছেলের এই অকালমৃত্যুতে পরিবার শোকস্তব্ধ। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ফালাকাটা থানার পুলিশ জানিয়েছে, দুই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement