Malda Murder Case: মেয়ের শ্বশুর ও জামাইকে ধারালা হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপাল বাবা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শ্বশুরের। গুরুতর জখম অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে ছেলে। মালদার এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় কালিয়াচক থানায় হামলাকারী মেয়ের বাবার রাসিউল শেখ, তার এক আত্মীয় হাসনাত শেখ-সহ ওদের দলবলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবার। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম তাজমুল শেখ (৫০)। গুরুতর জখম তার ছেলে ফাহিম শেখ (২০)। তারা বামনগ্রাম মোসিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চামাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। এদিন সন্ধ্যায় জমিতে কাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন বাবা ও ছেলে। সেই সময় হারুগ্রাম বারোবিঘা মাঠের কাছে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী তাদের ঘিরে ধরে। এরপরই হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। আশপাশের লোকজন দেখতে পেয়ে ছুটে গেলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই দু’জনকে মালদা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে তাজমুলের মৃত্যু হয়।
মৃতের স্ত্রী মিনি বিবি সংবাদমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, ছেলে ফাহিমের এক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল গ্রামেরই রাসিউল শেখের মেয়ের সঙ্গে। কিন্তু পুত্রবধূর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তারা সেটি হাতেনাতে ধরে ফেলেন বলেও জানান। এরপরই তাঁরা ছেলেকে বিবাহবিচ্ছেদ করেন। সালিশি সভায় মেয়ের পরিবারের বিরুদ্ধে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। যদিও সেই টাকা মেয়ের পরিবার দেয়নি বলে জানান। এদিন তারই বদলা নিতে রাসিউল শেখ ও তার এক আত্মীয় হাসনাত শেখ-সহ দলবল হামলা চালিয়ে স্বামী এবং ছেলেকে খুনের চেষ্টা চালিয়েছে বলে তিনি জানান।