Malda Clash: বেশ কয়েদিন ধরেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছিল বিস্তীর্ণ এলাকায়। তীব্র গরমে যা সহ্যের বাইরে চলে যায়। তারই প্রতিবাদে এদিন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন গ্রামবাসীরা। অবরোধ উঠিয়ে দিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ যেতেই খেপে ওঠে জনতা। পুলিশকে তাড়া করে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় জখম হয়েছেন কমপক্ষে ২ জন বলে জানা গিয়েছে। ক্ষিপ্ত জনতা পুলিশের একটি গাড়িতেও ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় পৌঁছেছেন মালদা রেঞ্জের ডিআইজি। রণক্ষেত্র চেহারা মালদহের মানিকচক এলাকা। ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
অবরোধকারী ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। পুলিশের গুলিতে জখমদের মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে গুলি চালাতে হল পুলিশকে, তা জানতে চেয়ে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন। যদিও বিরোধীরা এ নিয়ে সরব হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের উপর থেকে মানুষের বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশ। এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। পুলিশকে আরও সংযত থাকা উচিত :ছিল বলে মনে করছেন তিনি।
মানিকচকে বেশ কয়েকটি এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। সেই অভিযোগে এদিন মানিকচকের একাধিক জায়গায় অবরোধ শুরু হয়। এর মধ্যে পুলিশ এনায়েতপুরে অবরোধ তুলতে গেলে অবরোধকারীরা হামলা করেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকেন অবরোধীকারীদের একাংশ। নিজের আত্মরক্ষার্থে সামনে একটি বাড়িতে ঢুকে যায় পুলিশ। আক্রান্ত হন আইসি পার্থসারথি হালদার সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। পুলিশ এরপর বাধ্য হয়ে গুলি চালায় বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি অন্তত ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি চলেছে। সেই সময় পুলিশের গুলিতে ২ জন জখম হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। গোটা এলাকা এখন ঘিরে রেখেছে পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে পৌঁছান ডিআইজি সহ আরও বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।