স্কুলের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন স্কুলেরই দুই শিক্ষক। হাতাহাতি পরিণত হল রক্তারক্তি কান্ড।মালদার মানিকচকের ঘটনা। মানিকচকের মথুরাপুর বিএসএস হাইস্কুলের এই ঘটনা সামনে আসতেই তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনকী সংবাদমাধ্যমকে ভিতরে ঢুকতে বাধাও দেওয়া হয়। তবে গোটা ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।
মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতর দুই শিক্ষকের সংঘর্ষের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এরকম সংঘর্ষের ঘটনা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কুপ্রভাব ফেলতে
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধান শিক্ষকের কক্ষের ভেতরে ওই হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। তবে ঠিক কী কারণে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুই শিক্ষক তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ঘটনার পর থেকেই স্কুলের মূল ফটক তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়। স্কুলের তরফে এর কারণ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
তবে স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে এই স্কুলের একজন মহিলা শিক্ষিকাকে কেন্দ্র করে ওই গণ্ডগোল বলে দাবি করছেন অনেকে। আর সেই গণ্ডগোলের কারণ হিসাবে ত্রিকোণ প্রেমের তথ্যও উঠে এসেছে। এমনটাই দাবি করেছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক। তবে এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষক। তবে দুই শিক্ষকের সংঘর্ষের ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন মথুরাপুর বিএসএস হাইস্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উত্তমকুমার ঝা।
জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিন ধরেই মথুরাপুর বিএসএস হাইস্কুলের গণিত শিক্ষক সানোয়ার আলি পারভেজ ও জীববিদ্যার শিক্ষক মহম্মদ খালেক বারবার ছোটখাটো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ছিলেন। দুই শিক্ষককে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ নিজ কক্ষে আলোচনায় বসেন প্রধান শিক্ষক অতীন্দ্রনাথ দাস। অভিযোগ, আলোচনা চলাকালীন দুই শিক্ষক বচসায় জড়িয়ে পড়েন এবং বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। হাতাহাতিতে দুই শিক্ষকই অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ।