
উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলার বন্যা নিয়ে আরও একবার কেন্দ্রকে একহাত নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, 'বাংলা নদীমাতৃক দেশ। বাংলার ৪৩ শতাংশ এফেক্টেড হয় বন্যায়। উত্তরবঙ্গের তিস্তা, তোর্সা, রায়ডাকের মতো নদীগুলি ভুটানের জন্য ভেসে যায়। তার ফলে চা বাগান থেকে শুরু করে বিস্তির্ণ এলাকা ভেসে যায়। আর কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয় না। ও দিকে দক্ষিণবঙ্গ ভেসে যায় ডিভিসির ছাড়া জলে, পাঞ্চেতের ছাড়া জলে, মাইথনের ছাড়া জলে।'
ট্রেন জলে ডুবে যাচ্ছিল...
তিনি আরও বলেন, 'বাংলা হচ্ছে নৌকার মতো। উত্তরপ্রদেশের বৃষ্টির জল আসছে। বিহারের জল চলে আসছে। অর্থাৎ ম্যান মেড ফ্লাড। যেটা আমি ২০০৯ সাল থেকে বলছি। কারণ, তখন আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম। আমি কথাটা বলেছিলাম কারণ আমি শুনেছিলাম একটি রেল আসতে আসতে ফরাক্কায় পৌঁছাতে পৌঁছাতে অর্ধেক ট্রেন জলে ডুবে গেল। আমায় ফোন করা হল, এত প্যাসেঞ্জার মরে যাবে। ইঞ্জিন চলছে না। আমি বললাম মোটা মোটা দড়ি জোগাড় করো টেনে টেনে নিয়ে এসো।'
বন্যায় ক্ষতি হয়ে যাবে
মমতা আরও বলেন, 'বন্যায় ক্ষতি হয়ে গেল। একদিকে অতিবৃষ্টি। অন্যদিকে সিকিম-ভুটান থেকে জল ছাড়ার ফলে উত্তরবঙ্গে যেমন দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিক, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেমনই দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জায়গায় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে মালদাও রয়েছে।'
তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমরা কথা দিয়েছিলাম চাকরি দেব, ৫ লক্ষ টাকা করে দেব। সেটা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। মিরিকে একটা পাকা ব্রিজও হচ্ছে। কৃষি জমির সার্ভে হচ্ছে। তারা শস্যবিমা পাবে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে সব জেলা মিলিয়ে ১৪ হাজার ৭৯৪ টি পরিবারকে মোট ১৬১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এটা সরাসরি ব্যাঙ্কে দিয়ে দেওয়া হবে।'
অভিযোগ কেন্দ্রের দিকে
'সিকিমে ১৪ হাইড্রো পাওয়ার করে জল ব্লক করে দিয়েছে। জল হলেই দার্জিলিং, কালিম্পঙে চলে আসছে।... তিস্তা ব্লক করে দিয়েছে, এটা অপরাধ নয়। এটা সামাজিক অপরাধ নয়... কী করে সেন্ট্রাল গভার্নমেন্ট পারমিশন দিল', এমনটাই অভিযোগ মমতার
তিনি আরও দাবি করেন, 'কেন ডিভিসি-এর ড্রেজিং হবে না। সেচের প্রয়োজন হয়, জল দাও না। যখন বেশি জল হয়ে যায়, তখন ছেড়ে দাও।আ মাথইথন ড্রেজিং হয় না, ডিভিসিতে হয় না, পাঞ্চেতে হয় না। প্রবলেম ফেস করতে হচ্ছে শুধু বাংলাকে। শুধু মিথ্যে কথা, মিথ্যে ফেক নিউজ। গভর্মেনেন্ট অব ইন্ডিয়া জড়িত। ইলেকশনআসলে এই চালাকি বেশ করে করে। উত্তরবঙ্গের ডিজিস্টারের পর কেউ এসেছে, টাকা দিয়েছে। কিচ্ছু দেয়নি।''