Advertisement

Nepali Signboard Controversy: পাহাড়ে নেপালিতে সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক, ফতোয়া GTA-র; পাল্টা বিক্ষোভ সমতলে

এখন থেকে পাহাড়ের সমস্ত সরকারি অফিসের সাইনবোর্ডে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি নেপালি ভাষায় লিখতে হবে। শহর থেকে গ্রামের সমস্ত দোকান সহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও নাম, জায়গার নাম ইংরেজিতে লিখলেও, সেখানে নেপালি ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পাহাড়ে নেপালিতে সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক, ফতোয়া GTA-র; পাল্টা বিক্ষোভ সমতলে
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 01 Sep 2024,
  • अपडेटेड 2:36 PM IST

Nepali Signboard Controversy: এখন থেকে পাহাড়ের সমস্ত সরকারি অফিসের সাইনবোর্ডে ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি নেপালি ভাষায় লিখতে হবে। পাশাপাশি পাহাড়ের সমস্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকান সমস্ত জায়গায় সাইনবোর্ডে নেপালি ভাষায় লেখা বাধ্যতামূলক করা হল। গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) চিফ এগজিকিউটিভ অনিত থাপা কর্তৃক শনিবার জিটিএ-র সদর দফতর লালকুঠি থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এদিকে এই খবর প্রকাশ হতেই সমতলে পাল্টা ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। নেপালি ভাষা পাহাড়ে বাধ্যতামূলক করার প্রতিবাদে এবং বাংলার মাটিতে বাংলা ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার দাবিতে কর্মসূচি নিয়েছে আমরা বাঙালি।

জিটিএ-র তরফে দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং সহ জিটিএ এলাকার সমস্ত দোকান সহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও নাম, জায়গার নাম ইংরেজি বা অন্য ভাষায় লিখলেও সেখানে নেপালি ভাষায় নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নাহলে সেই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। জিটিএ-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক এসপি শর্মা বলেছেন, 'প্রতিটি পুরসভা এবং পঞ্চায়েতকে এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে।'

এদিকে এ নিয়ে পাল্টা আন্দোলনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমরা বাঙালি। সংগঠনের তরফ থেকে খুশিরঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, বাংলার মাটিতে নেপালি ভাষা চালুর প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে হাসমিচকে জিটিএ-র এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং অনিত থাপার কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন। বাংলার মাটিতে সংবিধান মেনে সমস্ত অফিস-কাছারিতে বাংলা ভাষা চালু করে চাকরির পরীক্ষাতেও বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক চালু  করতে হবে বলে দাবি করেন। পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রেও সমস্ত স্কুল ও প্রতিষ্ঠানে বাংলা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানাবেন তাঁরা।

পাহাড়ের রাজনীতিতে তৃণমূলের তথা রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংযোগ রেখে জিটিএ ও পুরসভাগুলি চালালেও, লোকসভার ফলে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে, মানুষের মনে তাঁরা জায়গা করে নিতে পারেননি। ফলে জনতার মন পেতে এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে অনিতরা। জিটিএ-র মাধ্যমে সমস্ত সরকারি কাজে নেপালি ভাষার ব্যবহার এবং নেপালি ভাষায় সাইনবোর্ড লেখা বাধ্যতামূলক করে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করছেন। ভাষা স্বীকৃতি, উন্নয়ন সহ বিভিন্ন দাবিকে সামনে রেখে পৃথক রাজ্যের দাবিতে পাহাড়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলেছে।

Advertisement

১১টি জনজাতিকে তপশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে বহু আন্দোলন হলেও সেই দাবিকে এখনও কেন্দ্রীয় সরকার মান্যতা দেয়নি। একটা সময় পাহাড়ের বহু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি এবং নেপালি ভাষায় 'গোর্খাল্যান্ড' শব্দটি লেখা হয়েছিল। এখনও বেশ কিছু দোকানে সেই সাইনবোর্ড রয়েছে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে জিটিএ-র তরফে নেপালি ভাষা ব্যবহারের উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement