Advertisement

Jalpaiguri Boy Suicide Case: বাবা সাইকেল দিতে পারেনি, অভিমানে মায়ের ওড়নায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু রাজমিস্ত্রির ছেলের

শুভমের বাবা পেশায় রাজমিিস্ত্র৷ নিম্নবিত্ত পরিবারের আর্থিক টানাটানি চলছিল। তাই সঙ্গে সঙ্গে দামি সাইকেল কিনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু  ধৈর্য ধরতে পারেনি শুভম। পরিবার ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সেই রাতেই মায়ের ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে সে।

বাবা সাইকেল দিতে পারেনি, অভিমানে মায়ের ওড়নায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু রাজমিস্ত্রির ছেলেরবাবা সাইকেল দিতে পারেনি, অভিমানে মায়ের ওড়নায় ফাঁস দিয়ে মৃত্যু রাজমিস্ত্রির ছেলের
Aajtak Bangla
  • জলপাইগুড়ি,
  • 03 Apr 2025,
  • अपडेटेड 4:08 PM IST

নতুন সাইকেল চাই। কয়েকদিন ধরেই আবদার ছিল ছেলের। দেবেন না বলেননি মা বা বাবা। কিন্তু চটজলদি কিনে দেওয়ার মতো সামর্থ্য না থাকায় কিছুদিন পরে দেওয়ার কথা বলেন মা। কিন্তু ছেলের চাই মানে চাই-ই। তক্ষুণি কিনে দিতেই হবে। কিন্তু দুঃস্থ পরিবারের সামান্য আয়ে ছেলের আবদার তক্ষুণি রাখা সম্ভব হয়নি। এতেই যে এত বড় পদক্ষেপ নেবে ছেলে, ঘুণাক্ষরেও ভাবতেও পারেননি তাঁরা মঙ্গলবার রাতে শোওয়ার ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে ১৪ বছরের ছেলের দেহ। 

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ধাপগঞ্জ এলাকার ঘটনা। এমন ঘটনায় পরিবারের সকলে তো বটেই, প্রতিবেশীরাও হতবাক। কিশোরের নাম শুভম রায়। বয়স ১৪ বছর। বুধবার বাড়িতে শুভমের শোকের আবহ। ছেলের শোকে মাঝে মধ্যেই জ্ঞান হারাচ্ছেন মা-বাবা, দিদি সহ পরিবারের সকলেই।

পুলিশ ও  পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সরকারি ছুটি থাকায় সারাদিন বাড়িতেই ছিল শুভম। মায়ের কাছে আবদার করেছিল নতুন দামি সাইকেলের। শুভমের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন৷ নিম্নবিত্ত পরিবারের সাংসারিক খরচ বাঁচিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দামি সাইকেল কিনে দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু  ধৈর্য ধরতে পারেনি শুভম। পরিবার ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, সেই রাতেই মায়ের ওড়না জড়িয়ে আত্মহত্যা করে সে।

আরও পড়ুন

তবে মায়ের কাছে সাইকেল কিনে দেওয়ার বায়না করার পর দিদির পুরোনো সাইকেল নিয়ে পাড়ায় খেলতে বের হয়৷ সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরেও সে স্বাভাবিক আচরণ করেছিল। হাত-মুখ ধুয়ে পড়তেও বসে। রাতে খাবার সময় ভাইকে ডাকতে গিয়ে কোনও সাড়া না পেয়ে জানলা দিয়ে উঁকি দিতেই দেখে ভাইয়ের ঝুলন্ত দেহ। দরজা ভেঙে তড়িঘড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষরক্ষা হয়নি। শুভমের পিসেমশাই বিশ্বজিৎ রায় সংবাদমাধ্যমকে জানান ‘একটুও সময় দিল না। যেদিন চাইল সেদিনই সব শেষ। আমাদের মতো পরিবারের কাছে হঠাৎ করে নতুন সাইকেল কেনা সম্ভব নয়। এটা বুঝল না।"

 

Read more!
Advertisement
Advertisement