ত্রিপুরার পর মালদা। বাংলাদেশিদের জন্য হোটেলের দরজা বন্ধ করল উত্তরবঙ্গের এই জেলা। মালদা জেলার হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা সমর্থন করে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্স।
বাংলাদেশিদের জন্য মালদার হোটেলে স্থান হবে না। মালদার হোটেল ওনার অ্যাসোসিয়েশন এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে মালদার ইংরেজবাজার থানার মহদীপুরে রফতানি আমদানির বাণিজ্যকেন্দ্র। এই পথ দিয়ে বৈধ কাগজ নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন বাংলাদেশি নাগরিক। এছাড়াও চিকিৎসা বা বিভিন্ন কাজের সূত্রে ভারতে আসেন বাংলাদেশি নাগরিকেরা। ফলে বাংলার মালদা জেলাতে ইংরেজবাজার শহরে হোটেল ভাড়া নিতে হয় তাদের। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ জন বাংলাদেশি নাগরিক বৈধ কাগজ নিয়ে মহদীপুর সীমান্ত পথ দিয়ে আসেন। থাকতে হয় ইংরেজবাজার শহরের হোটেলে। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য জেলার হোটেল ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী জানান ব্যবসার দিক থেকে ভাবলে আমাদের লোকসান হবে। কিন্তু বাংলাদেশে যে অস্থিরতা চলছে। তাতে আমরা আতঙ্কিত। বৈধ কাগজ নিয়ে শরনার্থী বা বাংলাদেশিরা ভারতে আসছেন। তা কি করে নিশ্চিত করা সম্ভব। বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘর ভাড়া দেওয়ার পর আইনীিসমস্যা এড়াতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
হোটেল ওনার অ্যাসোসিয়েশনের আরেক সদস্য ইমতেয়াজ রহমানেরও একই বক্তব্য। মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উত্তম বসাক হোটেল মালিকদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশ। ফলে দুষ্কৃতির বৈধ কাগজ ছাড়া চোরা পথে অনুপ্রবেশ করতে পারে। পরবর্তীতে হোটেল মালিকরা আইনি সমস্যার মধ্যে পড়তে পারেন। তাই এই সিদ্ধান্ত।
প্রসঙ্গত গত কয়েকমাস ধরেই অস্থির অবস্থা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। অভিযোগ উঠেছে সেদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের। গ্রেফতার করা হয়েছে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণকে। অভিযোগ, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে সংখ্যালঘু নির্যাতন চালাচ্ছে সে দেশের মৌলবাদীরা। এই অবস্থায় মালদা জেলার হোটেল মালিকরা সিদ্ধান্ত নিলেন, তাঁরা তাঁদের হোটেলে বাংলাদেশিদের ঢুকতে দেবেন না।