তৃণমূল নেতাকে গুলির ঘটনায় খেসারত দিতে হবে বিজেপিকে। শুক্রবারই জখমকে দেখতে এসে হাসপাতালে দাঁড়িয়ে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার কোচবিহারের সিতাইতে দাঁড়িয়ে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় তিনি বিজেপি কর্মীদের মারার নিদান দিলেন। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
উদয়ন গুহ বলেন, "একটা বিধানসভায় যদি বিজেপি কর্মীরা একজনও তৃণমূল কর্মী মার খায়, তাহলে আটটা বিধানসভায় আটজন বিজেপি কর্মীকে মারা উচিত। ওরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে তার খেসারত দিতে হবে । তৃণমূল ছেড়ে কথা বলবে না ।" পাশাপাশি তৃণমূল নেতার গুলি কাণ্ডেও বিজেপি বিধায়কের পরিবারের সব সদস্যদের গ্রেফতার করা উচিত বলেও দাবি তাঁর । উদয়নের এই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে ।
শুক্রবার দুপুরে গুলিকাণ্ডে বিজেপি বিধায়কের ছেলে-সহ ধৃত দুজনকে বিশেষ আদালতে তোলা হয় । মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী শিবেন্দ্রনাথ রায় বলেন, "ধৃতদের জামিন না মঞ্জুর করে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হয়েছে ।"
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে ঝিনাইডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন কোচবিহার -2 পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ রাজু দে । ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে কোচবিহারের বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করেন । ওই নেতা বর্তমানে সুস্থ আছেন ।
ওই ঘটনার পরদিন শুক্রবার জখম তৃণমূল নেতার ভাই কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায়ের ছেলে দীপঙ্কর রায়, বিধায়কের গাড়িচালক উত্তম গুপ্তা-সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করে । অভিযোগ দায়ের হতেই বিধায়কের ছেলে ও গাড়িচালককে গ্রেফতার করে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। পাশাপাশি বিধায়ক সুকুমার রায়ের একটি চারচাকা গাড়ি বাজেয়াপ্ত করে । পুলিশের দাবি, ওই চারচাকা গাড়ি নিয়ে গুলি চালানো হয়েছিল ।