North Bengal University Student Death Case: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ছাত্রী ববিতা দত্তের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সিদ্ধার্থশংকর লাহাকে গ্রেফতার করল মাটিগাড়া থানার পুলিশ। বুধবার দুপুরে অসমের গোয়ালপাড়া জেলার বাগুয়ান থেকে ধৃতকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতকে বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হয়। এই ঘটনায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেয়, তা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন মৃতার পরিবার।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ হতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত অধ্যাপক সিদ্ধার্থশংকর। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন করেন। অন্যদিকে, পুলিশ তাকে পলাতক বলে দেখিয়েছিল। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন ছাত্রীর পরিবারের লোকজন।অভিযোগ ও তদন্তের মাঝখানে বিপাকে পড়েছে ওই বিভাগের গবেষকরা। তাদের গবেষণার কাজ আপাতত থমকে গিয়েছে। কী হবে কেউ জানে না। তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।
গত ১৬ তারিখ মাটিগাড়া সংলগ্ন শিবমন্দির এলাকার একটি ভাড়া বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ববিতা দত্তের মৃতদেহ। এই ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করে বিরোধীরা। পাশাপাশি মৃত ববিতা দত্তের পরিবারের তরফে মাটিগাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নেমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্ত অসমের গোয়ালপাড়া জেলার বাগুয়ান এলাকায় রয়েছে।এরপরই মাটিগাড়া থানার পুলিশ ও অসমের বাগুয়ান পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনার ১৩ পরে ধৃতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফলং লার্নিং অ্যান্ড এক্সটেনশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছিলেন ওই অধ্যাপক। ওই ঘটনায় বিভাগীয় প্রধান সিদ্ধার্থশংকর লাহার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্য়ালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে ছাত্রীর পরিবার। তার আগে অবশ্য পুলিশও একটি অভিযোগ দায়ের করেছিল। আর্টসের ভারপ্রাপ্ত ডিন মহেন্দ্রনাথ রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, গোটা বিষয়টি নজরে রাখা হয়েছে। কয়েকদিন অপেক্ষা করা হবে। ঘটনার গতিপ্রকৃতি দেখে তারপর প্রয়োজনে গবেষকদের অন্য সুপারভাইজারদের তত্ত্বাবধানে গবেষণার ব্যবস্থা করা হবে।