RG Kar Protest: আর জি করের বর্বরোচিত খুন-ধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনায় ক্ষোভ দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ১০ দিন ধরে প্রতিবাদে পথে নেমেছে নাগরিক সমাজ, চিকিৎসক, আইনজীবীরা, নাট্য ব্যক্তিত্ব, সঙ্গীত শিল্পী, টেকনিশিয়ান স্টুডিও, টলি পাড়ার অভিনেতা অভিনেত্রীরা। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের যৌথ প্রতিবাদ মিছিল সহ আইটি কর্মীরাও। প্রতিবাদের ভাষা একটাই 'বিচার চাই'। বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন সস্ত্রীক প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। শুধু কলকাতা নয়, গোটা রাজ্যে, গোটা দেশে আন্দোলন চলছেই।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তি চেয়ে গোটা রাজ্য়ের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে শিলিগুড়িতেও বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ ভবনেই রয়েছে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের করণ। সেখানে ঢুকতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা।
আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Incident) প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিজেপি (BJP Protests For RG Kar Incident)। জেলায় জেলায় মিছিল করে স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে যাচ্ছেন কর্মীরা। বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) বিজেপির সেই কর্মসূচিতে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধল। অভিযোগ মহকুমা পরিষদ চত্বরে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা। তাঁদের আটকাতে গিয়ে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও।
এদিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিল বিজেপি। মিছিল করে মহকুমা পরিষদের দিকে যাচ্ছিলেন কর্মীরা। বাঘাযতীন পার্ক থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল। হাতে পতাকা এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে সেই মিছিল মহকুমা পরিষদের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু বিধান রোড হয়ে মিছিল মহকুমা পরিষদের দিকে এগোতেই বাধা দেয় পুলিশ। রাস্তায় ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছিল আগে থেকেই। বিজেপি কর্মীরা সেই ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেন। এরপর মহকুমা পরিষদের কাছে পৌঁছে ফের পুলিশি প্রতিরোধের মুখে পড়ে বিজেপি কর্মীরা। সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল আগে থেকেই। যদিও বিজেপি কর্মীরা মহকুমা পরিষদের প্রধান গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। কয়েকটি কাচের দরজাও ভেঙে যায়। জখম হন কয়েকজন বিজেপি সমর্থকরা। এরপর সেখানেই বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।