Advertisement

Rail Ticket Scam NJP: টিকিট বিক্রির প্রায় ২কোটি টাকা জমা না দিয়ে ব্যবসায় লাগিয়ে গ্রেফতার রেলকর্মীর স্ত্রী

Rail Ticket Scam NJP: অভিযোগ, টিকিট বিক্রির টাকা ব্যাঙ্কে জমা করার দায়িত্ব ছিল অনিশ সরকারের উপর। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, গত বছর ৩ জানুয়ারির টিকিট বিক্রির ১৪ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকারও বেশি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি সামনে আসতেই এনজেপির চিফ কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টর ২০ ফেব্রুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 23 Nov 2025,
  • अपडेटेड 11:22 PM IST

Rail Ticket Scam NJP: রেলের টিকিট বিক্রির কোটি টাকার নয়ছয়ের অভিযোগে রেলকর্মীর স্ত্রীকে গ্রেফতার করল এনজেপি থানার পুলিশ। ধৃত জয়শ্রী সরকার ভক্তিনগর সেন্ট্রাল কলোনির বাসিন্দা। তাঁর স্বামী অনিশ সরকার এনজেপি স্টেশনের কমার্শিয়াল সুপারভাইজার পদে কর্মরত।

রবিবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জয়শ্রীকে থানায় ডেকে পাঠায় পুলিশ। আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির হিসেব চাওয়া হলে তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জলপাইগুড়ি আদালত এক দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সোমবার ফের তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

অভিযোগ, টিকিট বিক্রির টাকা ব্যাঙ্কে জমা করার দায়িত্ব ছিল অনিশ সরকারের উপর। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, গত বছর ৩ জানুয়ারির টিকিট বিক্রির ১৪ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকারও বেশি ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয়নি। বিষয়টি সামনে আসতেই এনজেপির চিফ কমার্শিয়াল ইন্সপেক্টর ২০ ফেব্রুয়ারি থানায় লিখিত অভিযোগ জানান।

আরও পড়ুন

তদন্ত নেমে পুলিশ দেখতে পায়, শুধু ওইদিনই নয়, একাধিক দিনের আয় ব্যাঙ্কে পৌঁছয়নি। প্রায় দুই কোটি টাকারও বেশি গরমিল পাওয়া গেছে। অভিযোগ, সেই টাকা অনিশ নিজের স্ত্রীর বিভিন্ন ব্যবসায় লাগাতেন।অভিযোগ দায়ের হতেই অনিশ গা-ঢাকা দেয়। পরে জলপাইগুড়ির কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ থেকে আগাম জামিন নেয়। পুলিশের দাবি, তাঁর একটি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত জয়শ্রী বাবুপাড়ার একটি বেসরকারি ইংরেজি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু সেই আয়ের সঙ্গে তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাত্রার মিল ছিল না। পুলিশ আয়কর নথি খতিয়ে দেখে জানতে পারে, তাঁর বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, অথচ সম্পত্তির পরিমাণ তার বহু গুণ বেশি।

এক পুলিশ কর্তা জানান, অনিশ টিকিট বিক্রির টাকা স্ত্রীর ব্যবসায় খাটাতেন। অনিশ শ্রমিক নেতা হিসেবেও এলাকায় পরিচিত ছিল। তবে স্ত্রীর গ্রেপ্তারের পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, ফোন সবসময় ‘এনগেজ’ পাওয়া গেছে। হোয়াটসঅ্যাপে কল করলেও কোনও উত্তর মেলেনি।

Advertisement

 

Read more!
Advertisement
Advertisement